আট গুনিজনের একজন উৎপল দে পাচ্ছেন কবি মুহম্মদ শফি সম্মাননা—২০২৪

কবি মুহম্মদ শফি সম্মাননা—২০২৪ পাচ্ছেন আট গুনিজনের একজন উৎপল দে চারুকারুসহ সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি কবি মুহম্মদ শফির ৬৫তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ৮ জন গুনি ব্যক্তিকে স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হবে। শনিবার কবি মুহম্মদ শফির ৬৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মোতাহার হোসাইন ও সদস্য সচিব নূরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কবি মুহম্মদ শফি স্মারক সম্মাননা—২০২৪ চারুশিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য পেতে যাচ্ছেন চারুপীঠ
একাডেমীর নিবার্হী পরিচালক উৎপল দে।চারুকারু শিক্ষায় উৎপল দে এর অবদান,উৎপল দে শিশুকাল থেকেই খেলাধুলা, লেখালেখি, ছবিআঁকা, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে সাফল্য অর্জন করেছেন। পিতা দেব প্রসাদ দে, মাতা ঝর্ণা দে । দুই ভাই একবোনের ছোট সে। কেশবপুর পাইলট সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি, কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এস সি, যশোর সরকারি সিটি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সম্মানসহ এম এ পাস করেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কেশবপুর শাখা থেকে ১৯৯৯সালে ২ বছর মেয়াদী চারুকারু কোর্স ফাইনাল পরীক্ষায় এ প্লাস অর্জন করেন। সাংস্কৃতিক বিষয়ক শিক্ষাবোর্ড ধ্রুব পরিষদ বাংলাদেশ থেকে ৪ বছর মেয়াদীর্ চারুকারু কোর্স সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন ২০১৮ সালে। কর্মজীবনে কেশবপুর পৌর কারিগরি ও বাণিজ্যে কলেজে চাকুরী ও সাংবাদিকতা পেশাকে বেঁছে নিলেও শিশুদের নিয়ে কাজ করা তার নেশা। শিশুদের প্রতিভাকে বিকশিত করতে এবং কেশবপুরে চারুশিক্ষাকে প্রসারিত করতে ২০১৩ সালে ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন চারুপীঠ আর্ট স্কুল নামের প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির নাম চারুপীঠ একাডেমি । প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৭ টি শাখা। সেখানে প্রায় ৫শত শিক্ষার্থী চারুকারুসহ বিভিন্ন শাখায় শিক্ষা গ্রহণ করছে। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অর্জন করেছেন সাফল্য।সারাবছর ছোট ছোট আঁকিয়ে শিল্পীদের নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন, চিত্রশিল্পী, কবি ও সাহিত্যিকদের জন্ম মৃত্য দিবস উদযাপনসহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতা মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। কেশবপুরের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে রয়েছে তার অবাধ বিচরণ। বর্তমানে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। তাছাড়াও তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। তিনি কেশবপুর প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক।করোনার মহামারিতে ব্যক্তিগত প্রচেষ্ঠায় অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন।তিনি ঈদ উৎসব, দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন উৎসবে শিশুদেরকে নতুন পোশাক বিতরণ, অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করে থাকেন।মানুষের পাশে থাকা, মানুষের জন্যএকটু কিছু করতে পারাই যেন তার আনন্দ।কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমানদের বাঁচিয়ে রাখতে ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে নিজের প্রচেষ্ঠায় একমাস ব্যাপী খাদ্য সরবরাহ করেছেন। শুধু কি তাই! পরিবেশ সংরক্ষণেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন উৎপল দে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকার বৃক্ষরোপণ তার অন্যতম কর্মসূচী। দীর্ঘদিনের কর্মকান্ডের ফলস্বরুপ তিনি পেতে যাচ্ছেন চারুশিক্ষায় কবি মুহম্মদ শফি স্মারক সম্মাননা—২০২৪ কবিতা, নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প, আঞ্চলিক ভাষার কবিতা, প্রবন্ধ—গবেষণা, শিশুসাহিত্য, জীবনী, ইতিহাস, সম্পাদনা ইত্যাদি মিলে তাঁর এ যাবৎ প্রকাশিত গ্রন্থ শতাধিক। তিনি কেশবপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য। সাহিত্যে অবদানের জন্য এ যাবৎ তিনি দেশ ও বিদেশের বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। পেয়েছেন ‘কাব্যাচার্য’ ও ‘বঙ্গশ্রী’ উপাধি। কবি, নাট্যকার, গবেষক ও সব্যসাচী লেখক মুহম্মদ শফি ৩১ বছর ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মতিঝিল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলা বিভাগে শিক্ষকতার পাশাপাশি গ্রন্থাগার পরিচালকের দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমান কেশবপুরে নিজ বাড়িতে অবসর জীবনযাপন করছেন। গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংসদ নামে সাহিত্য সংগঠন।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের নিবার্হী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *