নতুন বছরের শুরুতেই আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে ‘ক্যানডিডা অরিস’। ছত্রাক প্রজাতির এই ক্যানডিডা অরিস হতে পারে প্রাণঘাতীও। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ বাড়ছে ক্যানডিডা অরিসের। অবিলম্বে প্রতিহত না করা গেলে এই ছত্রাক সংক্রমণ মহামারির আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) সূত্রের খবর, চলতি বছর প্রথম ক্যানডিডা অরিস সংক্রমিত রোগীর সন্ধান মেলে গত ১০ জানুয়ারি, ওয়াশিংটনে। তারপর গত সপ্তাহে আরও তিনজনের এই প্রাণঘাতী ছত্রাকে সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলে। সাধারণত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা এতে সংক্রমিত হন।
এছাড়া হাসপাতালের যেসব রোগী ফিডিং টিউব, শ্বাস নেয়ার টিউব বা ক্যাথেটার ব্যবহার করেন তাদের দেহে প্রায়শই এই ছত্রাক পাওয়া যায়।
সিডিসির তথ্যানুসারে, ক্যানডিডা অরিসে সংক্রমিত হলে শরীরের বিভিন্ন অংশে, এমনকি রক্তপ্রবাহের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়ায়। এর ফলে দেহের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। কানেও সংক্রমণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেস, ক্যানডিডা অরিস ছোঁয়াচে। অর্থাৎ কেউ এই ছত্রাকে সংক্রমিত হলে তার সংস্পর্শে আসা অন্য ব্যক্তিও সংক্রমিত হতে পারেন। তাই এতে সংক্রমিত ঝুঁকিপূর্ণ রোগীকে আলাদা থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এমনকি যে রোগীর পরিচর্যা করবে, তাকেও গ্লাভস ও গাউন পরতে হবে।
ক্যানডিডা অরিসের প্রথম খোঁজ মেলে ১৫ বছর আগে জাপানে। তারপর গত কয়েক বছরে এই ছত্রাকের সংক্রমণ অতিরিক্ত হারে বেড়ে যায়। ২০২২ সালে এই ছত্রাকে সংক্রমিত হয়েছিল ২ হাজার ৩৭৭ জন, যা ২০১৬ সালের তুলনায় ৫৩ গুণ।
সিডিসির তথ্য অনুসারে, মোট ৪০টি দেশে প্রাণঘাতী ভাইরাস ক্যানডিডা অরিসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। যেভাবে এই ছত্রাকের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, এটা গোটা বিশ্বের জন্য ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে সিডিসি ও ডব্লিউএইচও।