এক মেসিতেই হারল এমএলএস চ্যাম্পিয়নরা  

লস অ্যাঞ্জেলস মানেই হলিউড আর তারকার শহর। লিওনেল মেসি অবশ্য সেই লস অ্যাঞ্জেলসের তারকা নন। তিনি এখন শুধুই মায়ামির। তবে তাতে কি। হলিউডের শহরে এসে মেসি নিজেই কেড়ে নিয়েছেন সব আলো। এমএলএসের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লস অ্যাঞ্জেলস ফুটবল ক্লাব (এলএএফসি) রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছে এই আর্জেন্টাইনের কারণে। ম্যাচে গোল না পেলেও জোড়া অ্যাসিস্ট করে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন মেসিই।

এমএলএসের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এলএএফসি। দলে আছেন লিগের সবচেয়ে বড় তারকা কার্লোস ভেলা। মেসি আসার আগে অন্তত তাকে নিয়েই সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা ছিল বাকি দলগুলোর। এমন এক প্রতিপক্ষের সঙ্গে ম্যাচের আগে স্নায়ুচাপটাও ছিল বেশ চড়া। তবে মেসি যেন উড়িয়ে দিলেন সবকিছুই। মেসির জোড়া অ্যাসিস্ট আর মায়ামির দুর্দান্ত দলীয় নৈপুণ্যে ইন্টার মায়ামি ম্যাচ জিতেছে ৩-১ গোলে। 

লস অ্যাঞ্জেলসে শুরু থেকেই মাঠ ছিল স্বাভাবিক খেলার অনুপযোগী। বৃষ্টিভেজা মাঠে বারবারই পা হড়কাচ্ছিলেন মায়ামির ফুটবলাররা। বেশ কয়েকবারই বল হারাতে হয়েছে ভারী মাঠের কারণে। খেলোয়াড়রাও ছিলেন বিভ্রান্ত। এই সুবাদেই যেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে তুলে নেয় স্বাগতিক এলএএফসি। তবে গোলবারের নিচে ড্রেক ক্যালেন্ডার এই ম্যাচেও ছিলেন অবিচল। তার কল্যাণেই ম্যাচে টিকে ছিল লিগ কাপজয়ী মায়ামি। 

খেলার ধারার অনেকটা বিপরীতে ১৪ মিনিটে লিড নেয় মায়ামি। থমাস আভিলেসের পাস থেকে গোল করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ফাকুন্দো ফারিয়াস। মাঠে পড়ে গেলেও আলতো টোকায় বলকে জালে জড়ান তিনি। প্রথমার্ধে অবশ্য ব্যবধান বাড়াতে পারতো মায়ামি। তবে মেসির সহজ মিসের সুবাদে লিড বাড়ানো হয়নি তাদের।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য নিজের চিরচেনা খেলায় ফিরে যান মেসি। নিচ থেকে গেইম বিল্ডআপেই মন দিয়েছেন বেশি। তাতে সাফল্যও এসেছে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যায় মায়ামি। ওভারল্যাপে আসা জর্দি আলবাকে দারুণ এক পাস বাড়ান এলএমটেন। সহজ সেই পাস থেকে গোল করতে ভুল হয়নি স্প্যানিশ লেফটব্যাক আলবার। 

ম্যাচে এরপর  অবশ্য বেশকিছু সুযোগ তৈরি করেছিল মায়ামি। তবে লস অ্যাঞ্জেলসের ডিফেন্ডাররা ঠেকিয়ে রেখেছে মেসি বাহিনীকে। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে সেই দেয়াল ভেঙেছে আবারও। কাউন্টার অ্যাটাকে মেসির পাস থেকে দলকে ৩-০ তে এগিয়ে দেন লিওনার্দো কাম্পানা। ম্যাচের শেষ মিনিটে এলএএফসির রায়ান হলিংস গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন ৩-১ গোলে। 

এই ম্যাচের পর নিজেদের ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১৪তম স্থানেই থাকছে ইন্টার মায়ামি। আর ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সের ৩য় স্থানে আছে এলএএফসি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *