রাষ্ট্রপতির বাড়িতে মেহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী, খাবেন হাওরের মাছ

দুই যুগেরও বেশি সময় পর আগামী মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইন সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিন সকালে মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান। দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মিঠামইনের বাড়িতে অতিথি হয়ে বিকেলে মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন তিনি।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতিপুত্র প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি হামিদের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী ও তার সব সফর সঙ্গীকে হাওরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে।

তৌফিক জানান, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনে আসবেন। এর একদিন আগে সোমবার মিঠামইনে চলে আসবেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে মিঠামইন সদরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন। পরে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে তার মিঠামইন সদরের কামালপুরে পৈত্রিক বাড়িতে অতিথি হবেন তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন করা হবে হাওরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দিয়ে।

রাষ্ট্রপতিপুত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অষ্টগ্রামের পনির অনেক পছন্দ করেন। অষ্টগ্রামের এই পনির মাঝেমধ্যেই (প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) গণভবনে পাঠানো হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে অষ্টগ্রামের বিখ্যাত পনির দিয়েও আপ্যায়ন করা হবে।’

রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক আরও জানান, মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। রোববারের মধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই হাওরবাসীর মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। হাওরের যারা জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় কাজ-কর্ম করেন ইতোমধ্যেই তারা বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তৌফিক।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে কোনো দাবি-দাওয়া আছে কি না, জানতে চাইলে তৌফিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের হাওরবাসীর আর কোনো চাওয়া বা দাবি নেই। হাওরের উন্নয়নে তিনি সব করে দিয়েছেন। তিনি যা করে দিয়েছেন তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেই শেষ করতে পারব না। আজীবন কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবে হাওরবাসী। প্রধানমন্ত্রী হাওরে আসছেন এটাই আমাদের বড় পাওয়া।’

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর মিঠামইন সফরকে কেন্দ্র করে জেলার ১৩ উপজেলায় দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। তবে সবচেয়ে বেশি উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে হাওরে। প্রতিদিন পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠক ও আনন্দ মিছিল করছে হাওরবাসী।

এর আগে ১৯৯৮ সালের ৩ অক্টোবর মিঠামইনে প্রথমবার এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর এই মিঠামইনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

More From Author

বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত গুতেরেসের

যুদ্ধের অবসানে চীন এখন মধ্যস্থতায় কেন আগ্রহী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *