বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধর্ষণ মামলায় জামিন নিতে আদালতে হাজির হলে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফারুক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত ফরিদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিন বাতিলের জন্য হাইকোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করলে তার জামিন বাতিল হয়ে যায়। আজ পুনরায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান চেয়ারম্যান ফরিদ। জামিন না দিয়ে তাকে পুনরায় জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল বিচারের জন্য ভুক্তভোগী নারী চেয়ারম্যান ফরিদের কাছে গেলে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী ১৯ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর থানায় বাদী হয়ে চেয়ারম্যান ও তার গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলা দায়ের পর উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন চেয়ারম্যান ফরিদ। পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে ফরিদের সম্পৃক্তা ধরা পড়ে।
অভিযুক্ত চম্পা খাতুন বলেন, সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান তার গ্রামের বাড়িতে ডেকে নেন। পরে নেশা জাতীয় কিছু সেবন করিয়ে ধর্ষণ করের চেয়ারম্যান ফরিদ। বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলছেন চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ও একাধিকবার কারাগারে গেলেও নৈতিক স্খলনের দায়ে তার বিরুদ্ধে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।