যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এক ভূয়া পশু ডাক্তার পরিচয়দানকারীর সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি হলেন উপজেলার ৮নং সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের আমতলা এলাকার হায়দার গাজীর ছেলে মোঃ হাফিজুর গাজী।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঐ পশু চিকিৎসকের পশু চিকিৎসা করার মতো কোন বৈধ কাগজ না থাকলেও এলাকার সবাইকে তিনি গরু বা পশু চিকিৎসক নামে পরিচয় দেন। ঐ ভূয়া পশু ডাক্তারের ভূয়া পরিচয়ের কারণে এলাকার অনেক মানুষের গরু ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। তেমনি এক ভুক্তভোগী সিদ্দিপাশা গ্রামের মৃত- রইজ ফারাজীর ছেলে মোঃ খবির জানান, আনুমানিক এক সপ্তাহ আগে আমার দু’টি ছাগলের বাচ্চা হয়। ছাগল দু’টি একটু অসুস্থ মনে হলে আমি ডাঃ হাফিজুরকে ডেকে এনেছিলাম, সে এসে ভুল চিকিৎসা করেছে। যে কারনে আমার ছাগল দুইটি এখন মৃত্যুর পথে। ঐ চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় ছাগলের দুধের স্থন ফেটে ঘা হয়েছে। আমি ঐ ছাগলের পিছনে প্রাই ৯ হাজার টাকা ব্যায় করেও সমস্যার সমাধান পাচ্ছি না। আমি ঐ ভূয়া পুশু ডাক্তার পরিচয় দানকারীর কঠিন শাস্তি চাই।
তথ্য অনুসন্ধানে আরোও বেরিয়ে আসে অজানা তথ্য, পশু চিকিৎসক এর শরনাপন্ন হওয়ায় অনেকে তাদের গোয়ালের গরু হারিয়েছে, কেউ ছাগল হারিয়েছে। ভুল চিকিৎসায় গরু ছাগলের মৃত্যু এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেনা। এমন ভুক্তভোগীরা হলেন, সিদ্দিপাশা গ্রামের কবির শেখ এর ছেলে রবিউল শেখ, একই এলাকার তোরাব মোল্লার ছেলে আকুব্বর মোল্লা, বাবু খার ছেলে রিজাউল খা, কালু সরদারের ছেলে মহির সরদার, ছাব্দুল মোল্লার ছেলে ফারুক মোল্লাসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ঐ ভূয়া পশু চিকিৎসকের কারণে আমাদের এলাকার পশু গুলো চিকিৎসার নামে অপ চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছে যা মেনে নিতে আমরা পারছিনা। তারা আরোও বলেন, তিনি পশু ডাক্তার না হয়েও কেন পশুর চিকিৎসা করতে গিয়ে মানুষের এত ক্ষতি করছে তার কঠিন বিচার চাই। অভিযোগের বিষয়ে পশু চিকিৎসক মোঃ হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন পশু ডাক্তার না, আমি পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা করে থাকি। তার কাছে চিকিৎসা করার অনুমতি সনদ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কোন অনুমতিপত্র নেই। শুধু যুব উন্নয়নের একটি সার্টিফিকেট আছে।
এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা পশু কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিক বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব, রেজিষ্টারভুক্ত ডাক্তার না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।