কেশবপুরে মৎস্য লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে ঘেরের মাছ লুটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

কেশবপুরে মৎস্য লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে ঘেরের মাছ লুটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে মৎস্য লীগের সভাপতি  রাতের আঁধারে একদল দুর্বৃত্তদের নিয়ে মাছের ঘের থেকে প্রায় সাত লাখ টাকার চিংড়ি ও সাদা মাছ লুট করাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাংচুর করেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের বিল বুড়ুলিয়া খইতলার মেজবা উদ্দিনের ঘেরে এ ঘটনাটি ঘটে। বুধবার ঘের মালিক সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ ও ঘের মালিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাদারডাঙ্গা গ্রামের মেজবা উদ্দিন সুফলাকাটি ইউনিয়নের বিল বুড়–লিয়ায় ১৩০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছেন। মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম সারুটিয়া গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ফয়সাল মোড়ল, আলমগীর হোসেন, শফিকুল ইসলাম, মামুন সরদার, আলামিন, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান মোড়লসহ একদল দুর্বৃত্ত মাছের ঘেরে প্রবেশ করে পাহারাদার দশকাউনিয়া গ্রামের মিঠু শেখকে (৩৫) ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘের থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে তারা মাছের ঘেরের মধ্যে দড়াজাল দিয়ে প্রায় পাঁচ মণ বাগদা চিংড়ি এবং ১০০ মণ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ লুট করে নৌকায় করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য সাত লাখ টাকা। এ সময় তারা মাছের ঘেরের তিনটি টংঘর, দুইটি শ্যালোমেশিন, ডিজিটাল মিটার, সৌর বিদ্যুতের প্যানেল, মাছ ধরা সরঞ্জাম ও মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং এক ব্যারেল ডিজেল পানিতে ঢেলে দেয়। ঘটনা উল্লেখ করে ওই সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ওই ঘের থেকে কোন মাছ লুট করা হয়নি। মেজবা উদ্দিনের লোকজনই মাছ লুট করে তাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

More From Author

ফাইনালি আমি বুঝতে পারসি,আমি একটা ছাগল - মাহিয়া মাহি

ফাইনালি আমি বুঝতে পারসি,আমি একটা ছাগল – মাহিয়া মাহি

বন্যায় প্লাবিত ভবদহ এলাকার পানিবন্দি মানুষ পশুর সাথে বসবাস করছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *