মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের স্বাক্ষী হওয়ায় ক্লাস চলাকালীন বাইরে ডেকে এনে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। নিন্দানীয় ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবি তুলে বুধবার সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও মানবন্ধন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লাঞ্ছিতের শিকার আব্দুল আলিম যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কোদলাপাড়া দাখিল মাদ্রাসা সহকারী মৌলভী শিক্ষক। গত সোমবার সকালে কোদলাপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালিন এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার কোদলাপাড়া এলাকায় সাত্তার দর্জি নামে এক দোকানিকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় মাসুদুর রহমান মাসুদ’সহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে স্বাক্ষী করা হয় মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল আলিমকে। অভিযোগের স্বাক্ষী হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে গত সোমবার অভিযুক্ত মাসুদুর’সহ ২০/২৫ জন কোদলাপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় যায়। সেখানে ক্লাস চলাকালীন সময়ে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল আলিমকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
ভূক্তোভোগী মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল আলিম জানান, ঘটনার দিন সকালে ৮ম শ্রেণীর ক্লাস ছিলাম। মাসুদুর রহমান নামে স্থানীয় এক যুবক ক্লাস থেকে আমাকে বাইরে ডেকে আনেন। ওই সময় তার সঙ্গে ২০/২৫ জন ছিলেন। থানায় দায়েরকৃত একটি অভিযোগের কপি আমার হাতে তুলে দিয়ে আমার উপর চড়াও হয়। ঘটনার দিন বিষয়টি মাদ্রাসার সুপারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
অবশ্য, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে মাসুদ হোসেন বলেন, শিক্ষক আব্দুল আলিমের সঙ্গে শুধু কথাকাটি হয়েছে। এছাড়া তেমন কিছু না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোদলাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মুক্তার হোসেন বলেন, সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সন্তোষ পাল বলেন, মাদ্রাসা সুপার এসেছেন। তবে এখনো অভিযোগ দেননি।