তীব্র গণআন্দোলনের মুখে গত পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারত যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন কি না, তা নিয়ে আবার নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার একটি ফোন রেকর্ড ফাঁসের ও কথিত ‘পদত্যাগপত্র’ ঘিরেই নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।যদিও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সেই পদত্যাগপত্রটি ভুয়া বলে দাবি করা হয়েছে।
এবং এর আগের দিন দলীয় এক কর্মীর সাথে কথপোকথনের একটি অডিও কল রেকর্ডে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায় দেশ ছাড়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন নি।
গত মাসে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরদিন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদও গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন তার মা পদত্যাগ করেন নি।যদিও শেখ হাসিনা পতনের দিনই রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।
শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ছয়ই অগাস্ট সেদেশের পার্লামেন্টে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি বলেছিলেন, ”আমাদের জানা মতে নিরাপত্তা বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।’পরবর্তীতে তিনি শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’ বিশেষণ ব্যবহার করেছেন।
কিন্তু নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন কী, করেন নি সেটি কতখানি গুরুত্বপূর্ণ সেই নিয়েও নানা আলোচনা চলছে সবখানে।
সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে কোন সরকার প্রধানই ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করেন না।
এখন প্রশ্ন উঠেছে শেখ হাসিনা যদি সত্যিই পদত্যাগপত্র জমা না দেন, ভবিষ্যতে এটি নিয়ে কোন সংকট তৈরি হতে পারে কী না?