নাসিরনগরে পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক বিল আর ঘন ঘন লোডসেডিংয়ে অতিষ্ট জনজীবণ

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুতের বিরোদ্ধে গ্রাহকের অভিযোগের যেন শেষ নেই।ঘণ ঘণ লোডসেডিং,অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আদায়,ভাঙ্গা মিটার জোড়াতালি দিয়ে চালানো সহ আরাে অনেক অভিযোগ।পল্লী বিদ্যুতের বিরোদ্ধে এমন সব অভিযোগ যেন নিত্যদিনে।এ সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের বার বার অবগত করা হলেও তারা কিছুতেই কর্ণপাত করছে না।

চলছে ভাদ্রমাস।প্রচন্ড তাপদাহ আর তীব্র গরম।অপরদিকে গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে ঘণ ঘণ লোডসেডিং।সেই সাথে ভৌতিক বিদ্যুৎ বিলের বিড়ম্ভনা।ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার। বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম ঘুড়ে।পল্লী বিদ্যুতের বিভিন্ন গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানা গেছে এ সব তথ্য।

উপজেলার আশুরাইল,শ্রীঘর,বুড়িশ্বর,ফান্দাউক
ধরমন্ডল,ভলাকুট,গোয়ালনগর,ভোলাউক,তিলপাড়া,কুন্ডা,হরিপুর,নরহা,পূর্বভাগ,কদমতলী,রামপুর,নোয়াগাও সহ বেশ কিছু লোকের সাথে কথা বললে,

বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের হাফেজ মাওলানা মোতাহার হোসাইন বলেন,আমাদের গ্রামে চব্বিশ ঘন্টার ভিতর তিন ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকেনা। আগে আমার প্রতি মাসে আমার বিল আসতো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আর এখন সেই বিল আসে ২১০০ থেকে ২৫০০টাকা

ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামের সাফি মাহমুদ জানান,তাদের গ্রামে কারেন্ট ৩০ মিনিট তাকলে ৯০ মিনিট থাকে না আর বিলের সময় দেখা যায় আগের মাসের চেয়ে অনেক বেশী বিল আসে।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের তাবারক হোসাইন বলেন আমার মিটার প্রথম ভাল ছিল। এখন বিল আসে আগের চেয়ে অনেক বেশী।আগে আসতো ২২০ পড়ে ৪৩০ আর এখন আসে প্রতি মাসে ২১০০ টাকা।

বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ভোলাউক গ্রামের প্রাবাসী জামাল হোসেন বলেন আমার একটা মিটার নষ্ট হয়ে গেছে।অফিসে জানানোর পর বলছে পাল্টিয়ে দেবে। ১৫ দিন পড়ে ২ তারিখ অভিযোগ করেছে। ৩ তারিখ পুরাতন একটা মিটার লাগিয়ে দিয়েছে। ৭ তারিখে ওই মিটারে দেখা যাচ্ছে ৪ দিনে ৫৭০০ ইউনিট খরচ হয়েছে।

গুনিয়াউক ইউনিয়নের চিতনা গ্রামের সৌদি প্রবাসী শেখ শাহ আলম জানান,গতকাল দুপুর একটার সময় কারেন্ট চলে গিয়ে আসছে রাত ৮টায়। আবার ৯টার সময় গেছে আসছে রাত ১১টায়, এমন করেই আমাদের এলাকায় কারেন্ট যাওয়া আসা করে। বিলও ডাবল আসে।

জনগণের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম জানান,লোডসেডিংয়ের বিষযটি জাতীয় সমস্যা।অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে তিনি বলেন যদি আমাদের কোন লোক অন্যায় বা অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত বিল আদায়ের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মোঃ আব্দুল হান্নান
নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
০১৭১৭৩৫০৮৭৬

More From Author

মণিরামপুরে অধ্যাপক ও সাংবাদিক আব্দুল আলীম বাবার পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত

মণিরামপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

মণিরামপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *