মণিরামপুরের মনোহরপুর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ছবি ভাংচুর ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান লাভলুর সংবাদ সম্মেলন

মণিরামপুরের মনোহরপুর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ছবি ভাংচুর ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান লাভলুর সংবাদ সম্মেলন

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ১৭নং মনোহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পরিকল্পিতভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু ছবি ভাংচুরের ঘটনা সাজানো নাটক বলে দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৫মে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন ও এমপি ইয়াকুব আলী ওই ইউনিয়নে যান পরিকল্পিতভাবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এস এম আক্তার ফারুক মিন্টুকে ঘটনার জন্য দোষারপ করা সেটাও সঠিক নয়। এমনকি ছবি ভাঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে তাৎক্ষণিক তারা সেখানে একটা নাটকীয় প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমি উপজেলা পরিষদে বিজয়ী হওয়ায় পর গত ২৪মে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আমাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে আমি ও দলীয় লোকদের সাথে নিয়ে পার্শ্বেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে যাই। তবে সেখানে কোন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন এবং সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী স্থানীয় চেয়ারম্যান আক্তার ফারুক মিন্টুকে দোষারোপ করছেন। যা সঠিক নয়। ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি দাবী করেন বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করতে পারে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান মহিতুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জিন্নাহ, ভোজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এবং খানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, হরিদাসকাটীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিপদ ভঞ্জন পাড়ে প্রমুখ।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ২৪মে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু লোকজন নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে লোকদেরকে সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলীর ছবি সম্বলিত প্যানা ছিড়ে ফেলার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের কারণেই যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারাই বঙ্গুবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করেছে। বিষয়টি জানার পর ২৫মে সংসদ সদস্যসহ আমি সেখানে যাই এবং ছবি ভাংচুর ঘটনা দেখার পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করা হয়।

এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সবুরকে বাদী করে মণিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাছাড়া বিষয়টি সংগঠনের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

মণিরামপুরে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

মণিরামপুরে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

কেশবপুরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত

কেশবপুরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *