উৎপল দে,কেশবপুরঃ
যশোরের কেশবপুরে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি অবৈধভাবে গঠন করার অভিযোগ এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন কালচক্র সহ একাধিক পত্রিকায় ৩০ জানুয়ারী সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কেশবপুরে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারীকল্যাণ সমিতি নিয়ে অনুসন্ধানী তথ্য নিয়ে এবারের প্রতিবেদন। বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে থলের বিড়াল।
১১ মাসে তিন বার কমিটি ঘোষণা হয় কেশবপুরে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির। জানা গেছে ২০২৩ সালের ৪ মার্চ সমিতির গঠনতন্ত্র মেনে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান কে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বাসুদেব সেনগুপ্ত কে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটির শপথ পড়ান কেশবপুরে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগেরসভাপতি এস এম রুহুল আমিন।
এরপর কতিপয় নেতাদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়। কতিপয় নেতার লক্ষ লক্ষ টাকার অনিয়ম দেখা যায়। ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আব্দুল মজিদ কে আহ্ববায়ক ও এস এম মজুরুল ইসলাম ও বাসুদেব সেনগুপ্ত কে যুগ্ম আহ্ববায়ক করে কমিটি ঘোষণা করেন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম রুহুল আমিন। ২০২৪ সালেল ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করেন।
গত ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি সভাপতি, সাধারণ স¤পাদকসহ কার্যনির্বাহী কমিটির ৬ টি পদ ও ১১ টি ইউনিয়ন প্রতিনিধি পদে মোট ৪১ জন প্রার্থী নোনয়ন পত্র ক্রয় করেন। তফশীল অনুযায়ী ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে সেটাই আগেই ২৫ জানুয়ারী ফেসবুকে পোস্টেএস এম মজ্ঞুরল ইসলাম কে সভাপতি ও বাসুদেব সেনগুপ্ত কে সাধারণ সম্পাদক ৬ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর শিক্ষকরা এই কমিটি প্রত্যাখান করেন। ফেবুকে দেওয়া ওই কমিটিতে স্বাক্ষর রয়েছে সমিতির সাবেক সাধারণ স¤পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমীন বলেন। বেগমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সমিতির সাধারণ
স¤পাদক পদপ্রার্থী
স্বপন মন্ডল অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনে বিজয়ী হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা গত ২৫ জানুয়ারি পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই অবৈধ পকেট কমিটি করেছে। এই অবৈধ কমিটির বন্ধের দাবী জানায়। একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান ইউনিয়ন কমিটি ঠিক না করে থানা কমিটি গঠন করাই বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়ন কমিটি হওয়ার পর থানা কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও সেটা মানা হয়নি। জানা গেছে প্রতি ইউনিয়ন ও পৌর প্রতিনিধি পদে ৩ ফ্রেবুয়ারী নিবার্চন হওয়ার সমিতির পদ আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে কতিপয় শিক্ষকনেতা। কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন তফশীল অনুযায়ী ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে সেটাই আগেই ২৫ জানুয়ারী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তা অবৈধ। তফশীল অনুযায়ী নিবার্চনের দাবি জানান। এর আগে ২০২৩ সালেন ৪ মার্চ সমিতির নিয়ম নীতি ও গঠনতন্ত্র মেনে একটি কমিটি করা
হয়েছিল। ৬ মাস যেতেই আবার একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সমিতির এডহক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক বাসুদেব সেনগুপ্ত বলেন, কেউ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেনি। সুফলাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার এসএম আব্দুল মজিদ বলেন, সকলের মতামতে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ১৭ ফেব্র“য়ারির আগে কেন কমিটি ঘোষনা করা হলো তা আমি জানি না।
এ ব্যাপারে সমিতির সাবেক সাধারণ স¤পাদক এসএম রুহুল আমীন সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি আমাকে সমন্বয়ক হিসেবে সমিতির অফিসে ডাকা হয়েছিল। সেখানে সমঝোতার ভিত্তিতে ওই কমিটি করা হয়েছে ।