মেহেরপুর আদালতের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন স্বামী-স্ত্রী। এ ঘটনায় একে অন্যকে দোষারোপ করছেন।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে একটি মামলায় হাজিরা দিতে এসে তিনতলা থেকে পড়ে যান তারা।
স্বামী মামনুর রশিদ (৩৫) গাংনী উপজেলার শওড়াতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এবং স্ত্রী শিমা খাতুন (২৮) উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের মালিপাড়ার ফরিদুল ইসলামের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মামুন ও শিমা আদালত ভবনের তিনতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। পরে একে অপরের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে দুজনে নিচে পড়ে যায়। পরে সেখানে থাকা লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
এতে মামুনের একটি পা ভেঙে গেছে। শিমু অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
শিমু খাতুন অভিযোগ করেন, মামুন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করছিল। এসময় নিজেকে বাঁচাতে মামুনের শরীরে পড়া জ্যাকেট ধরে ফেলে। এতে দুজনেরই নিচে পড়ে যান।
এদিকে শিমুর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে স্বামী মামুন বলেন, শিমা খাতুন আমাকে মেরে ফেলার জন্য তিনতলা থেকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিতে চাইলে নিজেও পড়ে যায়।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নাজমুস সাকিব বলেন, দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা এখন সুস্থ আছেন।