তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১১৪

তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে সোমবার ভোরে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৭২ জনের প্রাণহানি হয়েছে তুরস্কে। আর ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে প্রতিবেশী সিরিয়ায়।

তুরস্ক সরকারের তথ্যমতে, ভূমিকম্পে দেশটির অন্তত ১০টি শহর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়েছে শত শত ভবন। এ পর্যন্ত অন্তত ৭২ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে, আহত হয়েছেন কয়েক শ মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোয়লু জানান, ভূমিকম্পে কাহরামানমারাস, হাতায়, গাজিয়ানতেপ, ওসমানীয়ে, আদিয়ামান, মালাত্যা, সানলুরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস শহর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সব সংস্থাকে ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

দুর্যোগ ও জরুরি সংস্থা ‘আফাদ’র বরাতে বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পে মোট ৭২ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন ৪৪০ জন।

স্থানীয় সরকারগুলোর বরাতে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, মালাত্যা প্রদেশে ২৩ জন, সানলুরফারে ১৭ জন, দিয়ারবাকিরে ৬ জন এবং ওসমানীয়েতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মালাত্যায় ১০০ জন, দিয়ারবাকিরে ৭৯ জন এবং সানলুরফাতে ৩০ জন রয়েছেন। এছাড়া অনেকে এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন।

মালাত্যার গভর্নর হুলুসি সাহিন জানান, সেখানে ধসে পড়েছে ১৩০টিরও বেশি ভবন। ওসমানীয়ে প্রদেশের গর্ভনর এরদিনচ ইলমাজ জানান, তার প্রদেশে অন্তত ৩৪ ভবন ধসে পড়েছে। আর দিয়ারবাকিরের গভর্নর আলী ইহসান সুয়ের তথ্যমতে, সেখানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অন্তত ৬টি ভবন।

ভূমিকম্পকবলিত আরও বিভিন্ন এলাকায় অনেক ভবন একেবারে ধসে পড়ার খবর প্রকাশ হচ্ছে তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি ও টিআরটি ওয়ার্ল্ডে।

অন্যদিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিবেশী সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সেখানে ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে আলেপ্পো শহরে বহু ভবন ধসে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।

এই কম্পনের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, তারপর আরও কয়েকটি পরাঘাত অনুভূত হয়। নুরদায়ি শহরের আশপাশে গাজিয়ানতেপেই রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ ও ৫ দশমিক ৬ মাত্রার দুটি কম্পন অনুভূত হয়।

অবশ্য তুরস্কের ভূতত্ত্ববিদরা বলেছেন, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৪ ছিল। কয়েক মিনিট পরেই সেখানে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

ঘুমের মধ্যে আগুনে পুড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

টিএসসিতে আসছে ‘হাওয়া’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *