মুসা বিন শমসের
বাংলাদেশের এক নম্বর ধনী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন মুসা বিন শমসের (অরফে, “প্রিন্স মুসা”)। তিনি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি; বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম এই মুসা বিন সামশের। তিনি DATCO গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা । এই গ্রুপটি বাংলাদেশ থেকে গ্রামীণ কৃষকদের মধ্যপ্রাচ্যের নির্মাণ শিল্পের জন্য পাঠায়। তাঁকে মনে করা হয় বাংলাদেশের এক নম্বর ধনী ব্যক্তি। তিনি ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে আন্তর্জাতিকভাবে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন।বর্তমানে তিনি ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দেওয়া হিসাব অনুযায়ী মুসা বিন শমসেরের সম্পদের পরিমাণ প্রায় এক লাখ কোটি টাকা।
মুসার জমা দেওয়া হিসাব অনুযায়ী সুইস ব্যাংকে তাঁর ১২ বিলিয়ন ডলার জমা রয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে)। এ ছাড়াও সুইস ব্যাংকের ভল্টে ৯০ মিলিয়ন ডলার দামের (বাংলাদেশি প্রায় সাতশ কোটি টাকা) অলংকার জমা আছে। দেশে তাঁর সম্পদের মধ্যে গুলশান ও বনানীতে দুটো বাড়ি, সাভার ও গাজিপুরে ১২০০ বিঘা জমির কথাও বিবরণীতে তুলে ধরেছেন।
//বাংলাদেশের দুই নম্বর ধনী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন
সাঈদ আবুল হোসেন।
সাঈদ আবুল হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের যোগাযোগমন্ত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ হওয়ার পর তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হন। তিনি SAHCO ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও তিনি SAHCO NGO এবং BAO ফোরাম ফর এশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা, যা “এশিয়ান দাভোস” নামেও পরিচিত। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ রয়েছে প্রায় 1 বিলিয়ন ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় হয় 8500 কোটি টাকা প্রায়।
//বাংলাদেশের তিন নম্বর ধনী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন
তারেক রহমান।
বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তারেক রহমান। তার উপার্জন হয় বাবা জিয়াউর রহমানের ব্যবসা থেকে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তিনি লন্ডনে থাকেন। তার অর্থের উৎস নিয়ে অবশ্য কম বিতর্ক নেই। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে 12টি অভিযোগের তদন্তও শুরু করে। তারেক রহমানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ 1.7 বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাছাড়া বর্তমানে তারেক জিয়ার কাছে রয়েছে cadillac xlr গাড়ি । তার এই গাড়িটি বুলেট পুরুপ ভার্শন। এই গাড়ির মূল্য প্রায় 8 থেকে 10 কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। এছাড়াও তারেক জিয়া লেক্সাস কোম্পানির আরেকটি গাড়ি ব্যবহার করে থাকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই গাড়িতে বিএনপির নামের নাম্বার প্লেট ব্যবহার করা হয়েছে।
//বাংলাদেশের চার নম্বর ধনী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন সজীব ওয়াহেদ জয়।
সজীব ওয়াহেদ জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে। তিনি বাংলাদেশের কোটিপতিদের একজন। রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও আইসিটি বিষয়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। তাঁকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মাস্টারমাইন্ডও বলা হয়।
তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় হয় প্রায় ১২৭৫০ কোটি টাকার মতো। তাছাড়া তিনি যে গাড়িগুলো সাধারণত ব্যবহার করেন তার মধ্যে বিএমডব্লিউ 7 সিরিজ অন্যতম।
//বাংলাদেশের পাঁচ নাম্বার ধনী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন আহমেদ আকবর সোবহান।
বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আহমেদ আকবর সোবহান বাংলাদেশে 50,000 -এর বেশি লোকের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি সরকারের তরফেও যথেষ্ট স্বীকৃতি লাভ করেন। করোনাকালীন সময়ে রোগীদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চারটি কনভেনশন সেন্টারকে তিনি হাসপাতাল হিসেবে ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ 500 মিলিয়ন ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় হয় প্রায় 4252 কোটি টাকা।