যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড়াচ্ছে বাইডেনের পোষা কুকুর

যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই কামড়াচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পোষা কুকুর ‘কমান্ডার’। এবার হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের এক সদস্যকে কামড়িয়েছে সে।

কুকুর ভালবাসেন বাইডেন। হোয়াইট হাউসেও কুকুর নিয়ে এসেছেন তিনি। তবে নিজের প্রিয় পোষা কুকুর ‘কমান্ডার’কে নিয়ে নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বাইডেন। যাকে-তাকে কামড়ে বেড়াচ্ছে কমান্ডার।

বিবিসির এক প্রতিবেদন মতে, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের এক সদস্যকে কামড়ে দেয় ‘কমান্ডার’। এ নিয়ে ১১ জনকে কামড়াল সে। এতে আহত ওই কর্মকর্তাকে হোয়াইট হাউসের ভেতরই চিকিৎসা দেয়া হয়।

হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্টনি গুগলিয়েলমি বলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে প্রেসিডেন্টের পোষা কুকুরের হামলার শিকার হন এক কর্মকর্তা।

২০২১ সালে হোয়াইট হাউসে আসে কমান্ডার। বাইডেন তার ভাই জেমসের কাছ থেকে উপহার হিসেবে কুকুরটি পেয়েছিলেন। ফার্স্টলেডি জিল বাইডেনের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক বলেন, অনেক সময় হোয়াইট হাউসের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পোষা প্রাণীগুলোর সমস্যা হয়। তারা এখানকার চাপ নিতে পারে না। তখন কিছুটা খ্যাপাটে আচরণ করে। এই পরিস্থিতিতে পোষা কুকুরটিকে প্রশিক্ষণ দিতে কর্মী প্রস্তুত করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসে ওঠার সময় বাইডেন দম্পতি মেজর ও চ্যাম্প নামে দুটি পোষা কুকুর সাথে এনেছিলেন। কিন্তু কুকুর দুটি হোয়াইট হাউসের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। হোয়াইট হাউসে এত এত মানুষ ও প্রটোকলের বেড়াজালে মেজরও পাগলাটে আচরণ করে। একদিন কামড়ে দেয় এক কর্মীকে।

মেজরকে নিয়ে বিপাকে পড়েন জো আর জিল বাইডেন। পরে কুকুর দুটিকে ডেলাওয়ারে বাইডেনের বাড়িতে পাঠানো হয়। ব্যবস্থা করা হয় প্রশিক্ষণের। পরে হোয়াইট হাউসে ফিরে আবারও একই আচরণ করে মেজর। এর কিছুদিন পরই মারা যায় চ্যাম্প। এরপর হোয়াইট হাউসে আনা হয় কমান্ডারকে।

More From Author

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর, কিছু গোষ্ঠী তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন

শাকিব খানের দরজায় রাফি, বানাবেন নতুন সিনেমা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *