বাংলাদেশের ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য এক নাম মাশরাফি বিন মর্তুজা। পরিসংখ্যানের পাতা ছাপিয়ে টাইগার ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি এই নিয়ে সংশয় নেই কারোরই। ক্রিকেটের মঞ্চ থেকে সরে গিয়ে মাশরাফি এখন সংসদ সদস্য। তবে জাতীয় দলে এখন পর্যন্ত ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ অবিচ্ছেদ্য এক নাম। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার আগমুহূর্তে আরও একবার দেখা গেলো তাকে।
শেষবার মাশরাফিকে ক্রিকেটের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল সেই তামিম ইস্যুতেই। তামিম ইকবালের অভিমানী অবসরের পর তাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গতকাল বিশ্বকাপের দল ঘোষণায় তামিমের বাদ পড়ার পর আরও একবার তামিম ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ম্যাশ। জানিয়েছেন, তামিম নিজেই বিশ্বকাপের দলে থাকতে চাননি।
সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘একটা তথ্য হয়তো সবাই ভুল দিচ্ছে—তামিমকে বাদ দিয়েছে, আসলে সত্য হলো, তামিম দলে থাকতে চায়নি। দলে না রাখা আর থাকতে না চাওয়ার ব্যবধান অনেক। আমার মনে হয় এতটুকু সম্মান তামিমের প্রাপ্য।’
তবে তামিম কেন দলে থাকতে চাননি তার উত্তর মাশরাফির কাছে নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। উত্তরটা শুধু তামিম দিতে পারবেন বলে সবশেষ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ বলেছেন, ‘এখন প্রশ্ন হতে পারে তামিম কেন দলে থাকতে চাইল না। আসলে সে উত্তর আমার কাছে নেই। সেটা একমাত্র তামিমই বলতে পারে।’
অবশ্য মাশরাফির এমন বক্তব্যের পরেও গুঞ্জন থামছে না সহসাই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের পর তামিম নিজেই জানিয়েছিলেন, পুরো সুস্থ নন তিনি। সিরিজের শেষ ওয়ানডে থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। আর এমন অবস্থানে থাকা তামিমকে নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে রাজি ছিলেন না অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
শেষ পর্যন্ত তামিমকে ছাড়াই বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। তবে এবার হয়ত মাশরাফির পক্ষেও সম্ভব না টাইগার ওপেনারকে দলে ফিরিয়ে আনা। আজ বিকেলে বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ছে টাইগাররা। আর মাশরাফির স্ট্যাটাসও ইঙ্গিত দিচ্ছে, এবারের গল্পটা শেষ হচ্ছে সাধারণভাবেই।