শান্ত-বার্লের ব্যাটে সিলেটের সপ্তম জয়

ইনিংসের সূচনা করতে নেমে আবারও দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেললেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মাঝের ওভারগুলোতে দারুণ একটা ইনিংস খেলেছেন মুশিফিকুর রহিম। শেষ দিকে রায়ান বার্ল ও জাকির হাসান রীতিমতো ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

আগে ব্যাটিং করে ১৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছিল চট্টগ্রাম। পরে ১৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে সিলেট। মাশরাফি বিন মুর্তজার সিলেটের এটা সপ্তম জয়। নয় ম্যাচে সাত জয় নিয়ে আবারও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে বসল সিলেট। অপর দিকে চট্টগ্রাম নবম ম্যাচ খেলতে নেমে হারল সপ্তমবার।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে সিলেটের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। শুরুতে দারুণ খেলেছেন ফর্মে থাকা শান্ত। ব্যাটিং অর্ডার উন্নতিতে তাওহিদ হৃদয় অবশ্য ফিরেছেন ১৫ বলে ১৫ রান করেই।

তবে শান্তর দাপুটে ব্যাটিংয়ের কারণে এ নিয়ে সমস্যা হয়নি। চলতি আসরে প্রথমবার তিনে খেলতে নেমে মুশফিকুর রহিম খেলেছেন ২৬ বলে ৫টি চার ১টি ছয়ে ৪১ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। এরপরই বার্ল ঝড়। জিম্বাবুয়ান তারকা চারে নেমে মাত্র ১৬ বলে ৪টি চার ৩টি ছয়ে ৪১ রান করেন।

১৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৭৭  রান তুলে ফেলেছে সিলেট। নাজমুল হোসেন শান্ত তখন ৪৪ বলে ৬টি চার ২টি ছয়ে ৬০ রান করে অপরাজিত। শেষ দিকে জাকির হাসান মাত্র ৫ বলে ১২ রান করেছেন।

এর আগে চট্টগ্রামের ইনিংসটি এগিয়েছে মেহেদি মারুফ আর অধিনায়ক শুভাগত হোমের ব্যাটে। ‍শুরুতে দারুণ এক ফিফটি করেছেন মারুফ। তার ৪০ বলে ৫২ রানের ইনিংসটিতে চারের মার ৭টি, ছক্কা ২টি। মাঝের ওভারে মাত্র ২৯ বল খেলে ৩টি করে চার-ছয়ে ৫৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন মেহেদি মারুফ। এছাড়া আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৭ বলে ৩৪ রান করেন।

২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে থেমেছে চট্টগ্রামের ইনিংস। সিলেটের হয়ে ২৩ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম।

যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে যা বললেন ক্রেমলিন মুখপাত্র

মধুসূদন পদক পেলেন ড. কুদরত-ই-হুদা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *