স্টাফ রিপোর্টার,কেশবপুর (যশোর)
যশোরের কেশবপুর প্রেসক্লাবের সদস্য ও শিক্ষক সুশান্ত মল্লিকের ৯ বছরের শিশু সন্তানকে অপহরনের চেষ্টা করা হয়েছে। এঘটনায় কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এবিষয়ে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা সরাফপুর গ্রামের সুশান্ত মল্লিকের ছেলে রুপম মল্লিক কাস্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। বুধবার স্কুল ছুটি হলে প্রতিদিনের ন্যায় সহপাঠীদের সাথে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলো। এসময় কাস্তা এলাকার জনৈক নসিরুল মোড়লের রাইস মিলের পাশে ইটের সলিংয়ে পৌছালে পিছন থেকে একটি নীল রঙ্গের ইজিবাইকে একদল দূর্বৃত্ত তাদের গতিরোধ করে রুপম মল্লিককে জোরর্পূক ইজিবাইকে উঠিয়ে অপহরনের চেষ্টা করে। এসময় তার সহপাঠী তোফাজ্জেল হোসেন বাধা দিলে তাকে গুম করে দেয়ার হুমকি দেয় অপহরনকারীরা। নিরুপায় হয়ে বন্ধুকে বাচাঁতে সে চিৎকার শুরু করে। এসময় এদিক ওদিক থেকে এলাকাবাসীরা ছুটে আসতে থাকলে অপহরনকারীরা রুপম মল্লিককে ইজিবাইক থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদেরকে বাড়িতে পৌছে দেয়। এঘটনায় রুপম মল্লিকের পিতা সুশান্ত মল্লিক বুধবার রাতে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তবে কি কারনে অপহরনের চেষ্টা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। সুশান্ত মল্লিক ঢাকা থেকে প্রকাশিত ঢাকা টাইমস প্রত্রিকার কেশবপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
সাংবাদিক সুশান্ত মল্লিক জানান, সাংবাদিকতা পেশার কারনে অনেকেই আমার উপর শত্রুতা করতে পারে। তবে কি কারনে আমার ছেলেকে অপহরন করা হচ্ছিল সেটা জানিনা। এঘটনার পর থেকে আমি ও আমার পরিবার গুম আতঙ্কে রয়েছি।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।