ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক ডাক্তার হয়ে দেন রোগীদের চিকিৎসাপত্র

(জয়দেব চক্রবর্তী; কেশবপুর, যশোর) :

যশোরের কেশবপুরের মাত্র্মৃঙ্গল ক্লিনিক এ- ডাগনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনয়ি ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ও দক্ষ জনশক্তি না নিয়েই চলছে কার্যক্রম। কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশের পর ভুয়া ডাক্তার কিøনিক মালিক জাহিদ হাসান দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাংবাদিকদেও বলনে, কাউকে রক্ষা করা আমার দায়িত্ব না। নিয়ম মেনে প্রতিষ্ঠান চালাতে হবে। তিনি সোমবার দেশব্যাপী ডাক্তারদের মানব বন্ধন কর্মসুচির পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সকল ক্লিনিক মালিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকদের সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। রোববার যশোরের সিভিল সার্জন পরিদর্শনকালে যে সকল অসংগতি দেখেছেন সেগুলি অফিসে ডেকে বলা হয়েছে। যে কোন মুহুত্বে র‌্যাব, উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করতে পারেন। মাতৃমঙ্গল ক্লিনিক বিষয়ে তিনি বলেন, সংশোধন না হলে সেও আইনের আওতায় আসবে। যে পর্যন্ত ঘটেছে তার কোন প্রতিকার বিষয়ে তিনি মুখ খুলেন নি।  

গত ডিসেম্বর মাসে ক্লিনিকের ডাক্তার কানিজ ফাতিমা কিøনিক থেকে চলে গেলেও তার নামে এখনো চলছে আলট্রাসোনো রিপোর্ট। যা নিয়ে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। রিপোর্টৃটিতে দেখা যায় গত ২০/০৬/২৩ তারিখে ডাক্তার কানিজ ফাতিমা স্বাক্ষর দিয়েছেন। অথচ তিনি গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে দায়িত্ব ছেড়ে অন্য ক্লিনিকে চলে গেছেন। ডাক্তার কানিজ ফাতিমা বলেন, ওই ক্লিনিক থেকে আমার সিল স্বাক্ষর দিয়ে যে আলট্রাসোনো রিপোর্ট দেয়া হয়েছে এটা আমার নয়। আমি ডিসেম্বর মাস থেকে ওখানে চিকিৎসা দেই না। এ বিষয়ে তিনি উদ্ধর্থতন কতৃৃপক্ষের নিকট অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। 

ক্লিনিকটির মালিক জাহিদ হাসান নিজে অপারেশন বাদে সকল চিকিৎসা দিয়ে চলেছেন। অথচ তিনি কোন ডাক্তার নন, তিনিই এ ক্লিনিকটির মালিক। গ্রামের সহজ সরল মানুষ তাকে ডাক্তার ভেবে চিকিৎসপত্র নিচ্ছে। অপরদিকে সাইনকেবার্ড বা ব্লিনিকটির বিলবোর্ডে যে সকল ডাক্তারদেও নাম লেখা রয়েছে তারা কেউ এখানে রোগী দেখেন না। সার্বক্ষণিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডাক্তার ফয়সাল বর্তমানে সেখানে কর্মরত নন। তিনি চলতি মাস থেকে অন্য একটি ক্লিনিকে চলে গেছেন। বর্তমানে এখানে সার্বক্ষণিক মেডিকেল অফিসার নাই, ডিপ্লোমা নার্স নাই, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট নাই। সম্পূর্ণ প্রতারণামূলক ভাবে এ ক্লিনিকটি চলছে।

শুক্রবার স ন্ধ্যায় কিøনিকটিকে সরেজমিন গেলে দেখা যায় তিনি চেম্বারে বসে আসেন। প্রবেশ করার সাথে সাথে তিনি রোগি সরিয়ে দিয়ে কথা বলতে থাকেন। তিনি ডাক্তার কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন না, আমি এখানে বসে ম্যানেজমেন্ট চালাই। অথচ তার টেবিলে পেশার মাপা ও ষ্টেথেসকোপ রয়েছে। ক্লিনিক মালিক জাহিদুল ইসলাম, বলেন উপজেলা স্বাস্ধ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন ডাক্তার সেখানে রোগি দেখেন এমনকি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে বসেন এবং দেখা শোনা করেন। কোন আবাসিক ডাক্তার আছে কিনা বললে বলেন,

এখন নেই। সব মিলিয়ে হযবরল অবস্থায় চলছে কিøনিকটি, যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। যশোরের সিভল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, সময় স্বল্পতায় চলে আসছি আগামী দিনে দেখব। অবশ্যই কোন অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না। 

More From Author

কেশবপুরে চাঁদা না দেয়ায় ঘের ব্যাসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ

অন্য চার্জারে চার্জ দিয়ে নিজের ফোনের যে ক্ষতি করছেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *