খুলনায় এগিয়ে আব্দুল খালেক

কালচক্র ডেস্ক :

খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ৪০টি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে আসা ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। সোমবার (১২ জুন) রাতে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন।

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৪৫ ভোট। আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মো. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৪৫ ভোট।

অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬৬০ ভোট,  জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৬০২ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৫২০ ভোট।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনো কেন্দ্র বন্ধ হয়নি। কোনো কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়নি। প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সকলের সহযোগিতায় নির্বাচন পরিচালনা করেছে। আমরা কথা দিয়েছিলাম খুলনাবাসীকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিব। আমরা সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি ফলাফলের মধ্য দিয়ে খুলনাবাসীর বিজয় হবে।

এর আগে সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৮৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় ভোট। এবারই প্রথম খুলনা সিটির সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ হয়েছে।

সহিংসতার খবর না পাওয়া গেলেও কিছু কিছু জায়গায় ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা। প্রায় অনেক কেন্দ্রে ইভিএম ধীরগতিতে কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

এদিকে কেসিসির মেয়র প্রার্থীরা ভোট দিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, জনগণ যে রায় দেবে আমি তা মেনে নেব।

জাতীয় পার্টি প্রার্থী এস এম শফিকুল ইসলাম মধু বলেছেন, ইভিএম হচ্ছে একটি জাদুর বাক্স। ইভিএম মেশিনে ভোট নিতে অনেক সময় লাগছে। এতে ভোট কারচুপি হতে পারে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল অভিযোগ করে বলেন, ইভিএমে হাতপাখায় টিপ দিলে ভোট নৌকায় চলে যাচ্ছে। 

এ নির্বাচনে সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এ সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।

More From Author

মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলায় ন্যাপের নিন্দা

আওয়ামী লীগের সময় কবে শেষ, বিএনপির কাছে জানতে চাইলেন কাদের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *