মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়েছে। বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে রবিবার ভোরে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে পালিয়ে যান তিনি। এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালিও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের দীর্ঘ ৫৪ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হয়। পতন হয় বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসনামলের।
তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট দামেস্ক ছেড়ে কোথায় পালিয়ে গেছেন তা জানা যায়নি। আল-আসাদের শাসনের সমাপ্তি দেশটির ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে বলে মনে করছেন সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠী।
আরও পড়ুনঃ বোমা মেরে তাজমহল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
জানা যায়, বাথ শাসনের অধীনে ৫০ বছরের দমন এবং ১৩ বছরের অপরাধ, নিপীড়ন ও স্থানচ্যুতির পর, দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে আজ ৮ ডিসেম্বর সেই অন্ধকার যুগের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন বিদ্রোহীরা। এরপর তারা সিরিয়ার জন্য নতুন যুগের সূচনা ঘোষণা করেন।
হোমস শহরে সরকারি বাহিনীর পতন ও সেনা প্রত্যাহারের পর হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসে নেচে-গেয়ে উল্লাস প্রকাশ করে। তারা বলতে থাকেন, আসাদ চলে গেছে, হোমস এখন মুক্ত এবং সিরিয়া দীর্ঘজীবী হোক। বাশার আল-আসাদ নিপাত যাক।
বিদ্রোহীরা আকাশে গুলি ছুঁড়ে উদযাপন করে। তরুণ-তরুণীরা সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের পোস্টার ছিঁড়তে থাকে। এসময় দামেস্কের সেদনায়া কারাগার থেকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়।