জি এম ফারুক আলম, ভবদহ থেকে ফিরে :
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, বিগত ১৬ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত ছিলেন না। ফলে তাদের কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যায়না। রাতের আঁধারে যারা মানুষের ভোটাধিকার হরন করে ক্ষমতায় আঁকড়ে ছিলো, তারা শুধু এলকার সাধারণ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন এবং দূর্নীতি আর লুটপাট ছাড়া কিছুই করেনি। এছাড়া যারা নিশি রাতের ভোটে ডামি এমপি নির্বাচিত হন তাদের মন আপনাদের দুঃখ-কষ্টে কাঁদবে এটা কখনোই ভাবার নয়। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে ভবদহে স্থায়ী সমাধান কিভাবে করতে হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আপনাদের দুঃখ দূর্দশা বিবেচনা করে দেশ নায়ক তারেক রহমান ভবদহ সরেজমিনে দেখতে আসবেন বলে আমি দাবি জানিয়েছি। এমনকি তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন সুষ্ঠ পরিবেশ হলেই তিনি এখানে আসবেন। প্রধান অতিথি বক্তব্যে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভবদহবাসির দুঃখ-দূর্দশা লাঘবের জন্য সকল চেষ্টা করা হবে। রোববার বিকেলে মণিরামপুর বিএনপির উদ্যোগে ভবদহের স্থায়ী সমাধানকল্পে কপালিয়া রাজবংশী পাড়া মন্দির মাঠে আয়োজিত লংমার্চ ও গণজমায়েত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। মণিরামপুর থানা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দীকি, কেশবপুর থানা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান খান, জেলা বিএনপি’র সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মুছা, কেশবপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মণিরামপুর থানা বিএনপির নেতা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান আক্তার ফারুক মিন্টু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মিন্টু প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরো বলেন, ভবদহপাড়ে ভুক্তভোগী জনগণের কাছ থেকে এই মুহুর্তে ব্যাংক, বীমা, এনজিও’র কিস্তি আদায় বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, আমডাঙ্গা খাল ৮৪ কিঃ মিঃ পুনঃখনন পূর্বক পানির স্রোত ধারা প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবগত সমস্যার সমাধানের বিকল্প নেই। ভবদহকে পুঁজি করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক শ্রেণির দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং এলাকার একটি গোষ্ঠী এটিকে কখনও স্থায়ী সমাধান চাননা বলেই কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেও জনগণের কোন উপকারে আসেনি। প্রায়াত মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম এবং আফছার আহমেদ সিদ্দীকি যখন জাতীয় সংসদের প্রতিধিত্ব করেছেন সে সময় যতটুকু উন্নয়ন করা হয়েছিল তার উপর ভিত্তি করেই এক যুগের মত এ এলাকার জনগণ ভাল ছিল। বিগত ১৬ বৎসরে এখানে যত সরকারি বরাদ্দ করা হয়েছে তা সবই লোপাট করা হয়েছে। এই মুহুর্তে জগণের স্বস্তির জন্য জেলা প্রশাসক ও বর্তমান সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে একটি ব্যবস্থা করা হবে এমন আশ্বাস দিয়ে বলেন, ভবদহের সৃষ্ট সমস্যার জন্য মণিরামপুর, কেশবপুর, ফুলতলা, ডুমুরিয়া ও অভয়নগর থানার ৫২টি বিলের পানি না সরার কারনে এলাকার জনসাধারণের মানবতার জীবন-যাপন করছে। এছাড়া, আলহাজ্ব অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরো বলেন, বিগত ১৬ বৎসরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পানি সরানোর জন্য যে সেচ ব্যবস্থা করে আসছে ২৪ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে আজ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে তারও দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সার্বিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কুলটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রভাষক নাজমুল হক লিটন।