মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরে অবস্থিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারী হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে করুণ চিত্র।হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৫০ টি হলে এখানে প্রতিদিন ৯০ থেকে ১০০ কোন কোন দিন তার চেয়েও বেশী রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।চিকিৎস নার্স ও পর্যাপ্ত জনবল সংকট থাকার কারনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ডাক্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী আসতে দেখা গেছে।তবে বয়স্কদের তুলনা শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে।হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান ভাল হওয়া শুধু নাসিরনগর নয়,পার্শ্ববর্তী সরাইল,মাধবপুর,লাখাই,অষ্টগ্রাম থেকেও অনেক রোগী এখানে এসে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।আউটডোরেও রোগীর অভাব নেই।ডাক্তাররা বলছেন আউটডোরে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ জন নারী,পুরুষ,শিশু রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আউটডোরে চলে চিকিৎসা সেবা।তবে আউটডোরে সব চেয়ে বেশী রোগীর চাপ সহ্য করতে হয় আর,এম ও ডাক্তার মোঃ সাইফুল ইসলামকে।বর্তমানে হাসপাতালে এত রোগী আসার কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে ডাক্তাররা জানান ঘন ঘন লোডশেডিং আর অতিরিক্ত গরমের কারনে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।তবে বয়স্কদের তুলনা শিশুরা বেশী নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান তারা।সরেজমিন হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে রোগীদের বারান্দায় ও মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নেয়ার দৃশ্য।২২ সেপ্টেম্ভর সকাল ৯ ঘটিকার সময় হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে আজ পুরুষ ৪১ জন, মহিলা ৫০ জন মোট ৯১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।তাছাড়াও ডেঙ্গু রোগী রয়েছে ১২ জন।শিশুদের মাঝে অনেকেই নিউমোনিয়া আর ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে।মুঠোফোনে কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরকল্পনা ডাক্তার অভিজিৎ রায়ের সাথে।তিনি বলেন রোগীর চিকিৎসা দিতে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।