বিষেশ প্রতিনিধি
১লা সেপ্টেম্ভর ২০২৪ রোজ রবিবার বিএনপির পক্ষ থেকে নাসিরনগর উপজেলার ১১৮ জনের নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীদের মধ্যে রয়েছে সাবেক এমপি এস এ কে একরামুজ্জামান সুখন,বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম,কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাজির মিয়া,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান ও রোমা আক্তার।
তাছাও রয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অসীম কুমার পাল,সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন।উপজেলা স্বেচ্চাসেবকলীগ সভাপতি নিরামল (দাস) চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন।উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়া,সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরে আলম। সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আব্দুল আহাদ।নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এম নাসির রহমান।আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন নেতা কর্মীরা।
চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম,ফান্দাউক ইউপির ফারুকুজ্জামান,গুনিয়াউকের জিতু মিয়া,পূর্বভাগ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার মিয়া,চাপরতলার মনছুর আহম্মদ মোট ৮ জন চেয়ারম্যান সহ উপজেলার মোট ১১৮ জন গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও আরো অজ্ঞাতনামা ২০০/৩০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এ মামলা থেকে বাদ পড়েনি ব্যাবসায়ীরাও।উক্ত মামলা তিনজন ঠিকাদারকেও আসামী করা হয়েছে।তারা হলেন ঠিকাদার মোঃ জিলু চৌধুরী,গৌতম দেব ও নজরুল ইসলাম।
এছাড়াও মামলাতে তিন শিক্ষককে আসামী করা হয়েছে।শিক্ষকরা হলে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহিম,সিংহগ্রাম বিজয় লক্ষী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক নির্মল (দাস) চৌধুরী,গুনিয়াউক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ নুর আলম প্রমুখ।
জানা গেছে এই মামলার বাদী চাতলপাড় ইউনিয়নের মোঃ রফিক চেয়ারম্যানের নিজ গ্রাম ঘুজিয়াখাইলের শাহ আলম পাঠান।রফিক চেয়ারম্যান ছাড়াও ঘুজিয়াখাইলের আরো দুইজন ব্যক্তি সাবেক মেম্বার মারফত আলী এবং হাফেজ করিমকে আসামী করা হয়েছে।তাছাড়া চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মাওলানা রিয়াজুল করিম,নোমান চৌধুরী, রতনপুরের সাবেক চেয়ারম্যান আঃ আহাদ, চাতলপাড়ের ইদু মিয়া,আমিনুল হক,মোশাররফ, বড়নগরের সামছুল হকসহ অন্যান্য গ্রামের আরো ১০ জনকে এই মামলার আসামী করা হয়েছে।
এর ফলে ঘুজিয়াখাইলসহ সমগ্র উপজেলার জনগণের মাঝে নিরব প্রতিবাদসহ মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।সবারএকই কথা এই মামলার জন্য চাতলপাড় ইউনিয়নসহ সমগ্র নাসিরনগর উপজেলায় শান্তি,বিশৃঙ্খলার বিগ্নতা সহ অরাজকতা সৃষ্টি হবে।এই জন্য নাসিরনগর উপজেলার জনগণের কাছে অদূর ভবিষ্যতে বিএনপির নেতাদের কৈফিয়ত দিতে হবে।অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিনা কারণে অন্যায় ভাবে বাদীর নিজ গ্রামের রফিক চেয়ারম্যান,মারফত আলী মেম্বার এবং হাফেজ করিমকে আসামী করার কারণে ঘুজিয়াখাইলের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে প্রতিবাদের ঝড় উঠছে।চাতল পাড়েরর বিভিন্ন লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে কথা বললে তাদের অনেকেই জানান এই মামলার জন্য শাহ আলমকে একদিন কৈফিয়ত দিতে হবে।
আদালত সুত্রে জানা গেছে,আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি নাসিরনগর থানাকে এফ আই আর রূপে গন্য করার আদেশ দিয়েছেন।
নাসিরনগরের বিস্ফোরক মামলার বিষয়ে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মোঃ নুর আলমের সাথে
তার সরকারী মোবাইল নাম্ভারে ফোন করে জানতে চাইলে ওসি তদন্ত ফোন রিসিভ করে বলেন স্যারতো নেই,মোবাইলটা আমার কাছে।তবে আমারা মামলার কপি পেয়েছি বলে ফোন কেটে দেন।