শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ

সোহরাওয়ার্দী কলেজ সংবাদদাতা


চলমান সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে চাপের মুখে পড়ে  পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেলন সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো মোহসিন কবীর। 

আজ রবিবার (১১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেওয়া পদত্যাগত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি। পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষরের পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল করে। এর আগে, শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া ১ ঘন্টা সময় পেরিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের রুম দখলে নেয়। এসময় তারা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে। সেই সাথে তারা পদত্যাগের জন্য জোর দাবি জানায়। 

এর আগে, সকাল ১১ টা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে জড় হতে থাকে। এ সময় তারা অধ্যক্ষকে পদত্যাগের জন্য ১ ঘন্টা সময় বেঁধে দেয়। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রাঙ্গন। হাজার হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে ভুয়া ভুয়া, চাটুকার, আওয়ামীলীগের দালাল,রাজাকার বলে স্লোগান দিতে থাকে।

উল্লেখ্য, এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ফেসবুক তার নিজ প্রোফাইলে শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে তুচ্ছ করেন এবং তাদেরকে এই বাংলা ছাড়তে বলেন। এরই পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। শিক্ষার্থীরা পদত্যাগের জন্য আন্দোলনে নামে। 

প্রসঙ্গত, অধ্যক্ষ মোহসীন কবিরের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একচেটিয়া প্রায় ৫ বছর ক্যাম্পাস নিজ দখলে জিম্মি করে রাখেন।  এই সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসে কোন মান উন্নয়ন হয়নি, গড়ে তুলেছেন ছাত্রলীগ নামক চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী যার হাত ধরে তিনি হয়েছেন কোটিপতি। কয়েকবার দূর্নীতির বিরুদ্ধে জানতে গেলে কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের সাথে প্রচুর গালিগাজসহ, খারাপ আচরণ করেন এমনকি দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সাথে হাত মিলিয়ে লুটে নিয়েছেন কোটি টাকারও বেশি। প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে  লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অফিস চলাকালীন রুমে বসে ধূমপান করাসহ বিভিন্ন ডিপার্ট্মেন্টের শিক্ষাকাদের সাথে অনৈতিক সম্পর্কেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যাম্পাসের লুটের টাকায় বাসাবতে গড়ে তুলেছেন ৭ তলা ফাউন্ডেশনের সুবিশাল এক উচ্চ বিলাশ বাড়ি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকারও বেশি।

More From Author

কেশবপুর থানায় সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় মতবিনিময়

কেশবপুর থানায় সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় মতবিনিময়

মণিরামপুরে বিএনপির পৃথক পৃথক অবস্থান কর্মসূচি পালন

মণিরামপুরে বিএনপির পৃথক পৃথক অবস্থান কর্মসূচি পালন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *