ডেস্ক রিপোর্ট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে জাতীয় শোক দিবস পালন ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বুধবার (৩১ জুলাই) ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি শুরু হয় ৩১ জুলাই আলোক প্রজ্বলনের মাধ্যমে। এছাড়াও রয়েছে, ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের ৭৫তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তার জীবন ও কর্মের ওপর উন্মুক্ত স্মৃতিচারণ ও আলোচনা।
৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৪তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন, রক্তদান কর্মসূচি এবং অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ।
১৬ আগস্ট সব মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও ১৫ আগস্টের শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মাহফিল।
১৭ আগস্ট ২০০৫ সালে জামায়াত-বিএনপির সংঘটিত সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র সমাবেশ’।
২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ‘শেখ হাসিনা: তুমি অবিচল, অকুতোভয়, অপ্রতিরোধ্য, দুর্জয়’ শীর্ষক পদযাত্রা। ২৪ আগস্ট নারীনেত্রী আইভী রহমানের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
২৭ আগস্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ‘চির উন্নত শির: নজরুল থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্ন’ শীর্ষক সংগীত, কবিতা, গল্পপাঠ।
৩১ আগস্ট শোকের মাস আগস্ট স্মরণে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে’ শীর্ষক সমাবেশ।
এছাড়াও সংগঠনটির আয়োজনে ২, ৯, ১৬, ২৩, ৩০ আগস্ট: প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহবাগে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, ডকুমেন্টারি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা প্রদর্শন করা হবে। তাছাড়া আগস্টে ছাত্রলীগের বাৎসরিক প্রকাশনা ‘মাতৃভূমি’ এর মোড়ক উন্মোচনের কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলার ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে বাঙালির চিরতম শোকের মাস আগস্টে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঘোষিত প্রতিটি কর্মসূচি এবং অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক ও সৃজনশীল কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।