মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মিকাইল হোসেন আগামী ৮মে উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন। এতে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী প্রভাষক মোঃ ফারুক হোসেনের জয়ের পাল্লা ভারী হয়ে গেলো। এখন হবে দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের লড়াই। ভোটারদের মধ্যে চলছে মোটরসাইকেল এবং আনারস প্রতীকের দুই প্রার্থীর ভালোমন্দ চরিত্রের চুলচেরা বিশ্লেষণ।

জানা গেছে, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মিকাইল হোসেন বুধবার বিকেলে তাঁর ফেসবুক ওয়ালের স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন ছোট ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী প্রভাষক মোঃ ফারুক'কে সমর্থন জানিয়ে এ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালাম। এমনকি তাঁর সাথে থাকা নেতাকর্মীদের তিনি ফারুক হোসেনের মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এদিকে মোটরসাইকেল মার্কার একাধিক নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন মোঃ মিকাইল হোসেন তাঁর সাথে থাকা নেতাকর্মীদের নিয়ে মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী প্রভাষক মোঃ ফারুক হোসেনকে বিজয়ী করতে বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করবেন।

অপর দিকে, তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে মিকাইল হোসেন নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোট কারনে ফারুক হোসেনের মোটরসাইকেল মার্কা বেশখানিকটা বিজয়ের দারপ্রান্তে চলে গেছেন বলে একাধিক সুধীমহল জানিয়েছেন। মিকাইল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে প্রভাষক ফারুক হোসেন একজন উদীয়মান ক্লিন ম্যান জনপ্রিয় নেতা হিসেবে অল্পদিনেই খুবই পরিচিতি লাভ করেছেন। ফলে দুইজন এককাতারে পৌছানোর কারনে এখন ফারুক হোসেনের জয়েরপাল্লা ভারী হয়ে উঠেছে।

এদিকে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী প্রভাষক মোঃ ফারুক হোসেন এবং আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন লাভলু এই দুইজনের মধ্যে আগামী ৮মে নির্বাচনে লড়াই হবে। ফলে সকল ভোটাররা চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছেন। কাকে উপজেলা পরিষদের সোনার হরিণের চেয়ারটিতে বসানো যায় তা নিয়ে চলছে অনেক জল্পনা কল্পনা। যে কারণে সচেতন ভোটাররা প্রার্থীদের অতীত ও বর্তমান চারিত্রিক গুণাবলির বৈশিষ্ট্য নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। আর ছিন্নমূল ভাসমান ভোটাররা সৎ ও নতুন প্রজন্মের নেতা খুঁজছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ৮মে নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ কন এবং পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এ নির্বাচনে মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৩৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।