মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী মেডিকেলে চান্সপ্রাপ্ত খানপুর ঋষি পল্লীর অপু দাসের পাশে দাঁড়ালেন। তিনি অপু দাসের ভর্তিসহ আনুসাঙ্গিক যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন।
অপু দাস মণিরামপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা খানপুর ঋষি পল্লীর হতদরিদ্র অসিত দাস ও সাধনা রানী দসের ছোট ছেলে। অপু চলতি ২০২৩-২০২৪ শিক্ষা-বর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫ নম্বর পেয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। অপুর এমন সাফল্যে তাকে নিয়ে গনমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপুর মেডিকেলে পড়া নিয়ে শিরোনাম হয় দুঃশচিন্তায় তার পরিবার। দরিদ্র অপুর লেখা পড়ার অনিশ্চয়তার ভবিষ্যত শিরোনামটি নজরে আসে এমপি ইয়াকুব আলীর। এছাড়া বিষয়টি মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনের দৃষ্টিগোচর হলে তিনিও তা অনুধাবন করে এমপি ইয়াকুব আলীর নিকট উপস্থাপন করেন। সংসদ সদস্য বিষয়টি আমলে নিয়ে অপুকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং মেডিকেলে ভতির্র জন্য নগদ অর্থ তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান, ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা জিএম মজিদ প্রমূখ।
এমপও ইয়াকুব আলী একজন আর্তমানবতার মানুষ। তিনি আজীবন সমাজের দুঃস্থ, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করছেন। আশ্রয়হীন মানুষের মাথা গোঁজার ঠিকানা, কখনো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো, কখনো চিকিৎসা সেবায় আবার কখনো বা লেখাপড়ার খরচ যোগাতে নগদ অর্থ তুলে দেওয়ায় হলো এমপি ইয়াকুব আলীর রুটিন মাফিক কাজ। এমপি ইয়াকুব আলী একদিকে আর্ত-মানবতায় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন, অন্যদিকে ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, এতিমখানা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়াঙ্গনেও নিজেকে নিয়োজিত করে রেখেছেন আজীবন।
এমপি ইয়াকুব আলী সাংবাদিকদের বলেন, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কিছু করা, তাদের পাশে থাকা এটা আমার জীবনের একটি অংশ। ধর্মীয়, দাতব্য, ক্রীড়া , শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সবই সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সমাজের প্রতিষ্ঠিত সকল ব্যক্তিবর্গকে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত থাকা দায়িত্ব ও কর্তব্য সেই উপোলব্ধি থেকেই নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। বর্তমানে জনগনের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বচিত হয়ে সেই দ্বায়িত্ব বোধ আরো বেড়ে গেছে। সাথে সাথে দায়বদ্ধতাও বেড়ে গেছে।