ফুটবল ক্যরিয়ারের একটা লম্বা সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে কাটিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রিমিয়ার লিগের এই ক্লাবটি থেকেই মূলত তারকা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন তিনি। রোনালদোর পরিশ্রম খুব কাছ থেকে দেখেছেন তার ম্যানইউ সতীর্থ অ্যান্ডারসন। সম্প্রতি সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সাবেক ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার।
২০০৭ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ইউনাইটেডে যোগ দেন অ্যান্ডারসন। নতুন শহরে এসে রোনালদোর বাড়িতে আশ্রয় নেন এই ফুটবলার। তাদের সঙ্গে একই বাসায় থাকতেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার নানি। এসময়ের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে অ্যান্ডারসন বলেন, রোনালদোর জন্য স্ট্রেচারে করে ঘুমাতে হয়েছে তাকে এবং নানিকে।
অ্যান্ডারসন ইউনাইটেডে যোগদানের সময় ক্লাবটির অনুশীলনের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল সকাল সাড়ে ৯টা। তবে রোনালদোর পরিশ্রমী মানসিকতার কারণে মাঝে মধ্যে সাড়ে ৬টায় মাঠে যেতে হতো তাদের। ঘুমের স্বল্পতার কারণে অ্যান্ডারসন এবং নানি প্রায়ই নাকি স্ট্রেচারে ঘুমিয়ে পড়তেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথা বলেছেন অ্যান্ডারসন।
তিনি বলেন, ‘নানি এবং আমি রোনালদোর বাড়িতে ছিলাম প্রায় এক বছর। এসময় অনুশীলন হতো সাড়ে ৯টায়। কিন্তু মাঝে মধ্যে আমাদের সাড়ে ৬টায় যেতে হতো। কারণ রোনালদো আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং আমরা তার সঙ্গে যেতাম। আমি এবং নানি সেখানে স্ট্রেচারে ঘুমিয়ে থাকতাম।’
রোনালদোর পরিশ্রমী মানসিকতার প্রশংসা করে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘আমার মধ্যে সিআরসেভেনের মানসিকতার ৫ শতাংশ থাকলেও আমি তখন সেরা ২০ মিডফিল্ডারের মধ্যে থাকতাম। আমি সেখানে যাওয়ার পরই ক্রিস্টিয়ানোর বাড়ি যাই। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই যে সে আমাকে থাকার সুযোগ দিয়েছিল। আমরা রোনালদোর বাড়িতে প্রায় এক বছর ছিলাম। এই লোকটা আমাদের অনুশীলনে নিয়ে যেতেন, আমাদের খাওয়াতেন এবং আমাদের জন্য একজন রাঁধুনিও রেখেছিলেন। বাড়িটার ভেতর একটা সুইমিং পুল, জাকুজি এবং টেনিস কোর্ট ছিল।’