রাখাইনে বসবাসরত অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করতে নতুন পাঁয়তারা শুরু করেছে মিয়ানমার। রাখাইনে নতুন করে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে জান্তা বাহিনীর লড়াইকে নাটক বলছেন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা।
তারা বলছেন, প্রত্যাবাসন বাধাগ্রস্ত ও আন্তর্জাতিক চাপ এড়াতে কৌশল অবলম্বন করছে মিয়ানমার। আর কোনো রোহিঙ্গাকে নতুন করে আশ্রয় দিতে রাজি নন স্থানীয়। তবে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
সীমান্ত ঘেঁষে একের পর এক আকাশে উড়ছে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার। আর থেমে থেমে করা হচ্ছে মর্টার শেলের গোলা নিক্ষেপ। হচ্ছে গোলাগুলিও। এরই মধ্যে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া ১৩টি মর্টার শেল এবং ১ রাউন্ড বুলেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও এসে পড়েছে।
তারা বলছেন, প্রত্যাবাসন বাধাগ্রস্ত ও আন্তর্জাতিক চাপ এড়াতে কৌশল অবলম্বন করছে মিয়ানমার। আর কোনো রোহিঙ্গাকে নতুন করে আশ্রয় দিতে রাজি নন স্থানীয়। তবে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
সীমান্ত ঘেঁষে একের পর এক আকাশে উড়ছে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার। আর থেমে থেমে করা হচ্ছে মর্টার শেলের গোলা নিক্ষেপ। হচ্ছে গোলাগুলিও। এরই মধ্যে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া ১৩টি মর্টার শেল এবং ১ রাউন্ড বুলেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও এসে পড়েছে।
আরেক বাসিন্দা আবু ছৈয়দ বলেন, আর একজন রোহিঙ্গাও বাংলাদেশ প্রবেশ করুক এটা আমরা চাই না। যারা আশ্রিত আছে তাদেরকেও যেন দ্রুত তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাখাইনে নতুন করে সংঘাতে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন কক্সবাজারে উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। তাদের দাবি, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জান্তা সরকার পরিকল্পিতভাবে সংঘাতের নাটক সাজিয়ে প্রত্যাবাসন বাধাগ্রস্ত ও আন্তর্জাতিক চাপ এড়াতে কৌশল অবলম্বন করছে।
লম্বাশিয়া ক্যাম্পে মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, 'এরা তো লড়াই করছে না, তারা তারা পরিকল্পনা করে মুসলিম পাড়ায় আক্রমণ করছে। তারা তো মগ পাড়ায় যায় না লড়াই করতে।'
ক্যাম্প-১ ইস্টের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসন বলেন, আমরা কিভাবে মিয়ানমারে যাব কোনো রাস্তা পাচ্ছি না। আমরা এক মুহুর্তেও ক্যাম্পে থাকার ইচ্ছে নেই। আমরা এখন পারলে এখনই চলে যেতে চাই। এটা কোনো আমাদের দেশ নয়, তাই আমরা এখানে থাকতে চাই না।
ক্যাম্প-১ এর বাসিন্দা ছলিম উল্লাহ বলেন, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যে লড়াই চলছে বলা হচ্ছে, এটার খবর আমরা রাখছি। আমাদের আত্মীয়-স্বজন রাখাইনে রয়েছে। এটা সত্যিকারের মারামারি নয়, আমরা রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারের ফিরে যেতে না পারি তার জন্য পরিকল্পনা করছে।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জোবাইর বলেন, মিয়ানমার আমাদেরকে একবার গণহত্যা চালিয়ে দেশ ছাড়া করে। তখন বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছে। মিয়ানমার আমাদের স্বদেশে নিয়ে যাচ্ছে না, তারপরও বাংলাদেশ চীনকে সঙ্গে নিয়ে স্বদেশ মিয়ানমারের ফেরাতে কাজ করছে। মিয়ানমার আমাদের নিয়ে যাবেও বলেছে। কিন্তু মিয়ানমারের আমাদের নিয়ে যেতে রাজি নয়, জোরপূর্বক নিয়ে যেতে হচ্ছে তার কারণে আরকান আর্মিকে মিয়ানমার জান্তা সরকার সামনে এনে লড়াই করছে।