গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (জিএমপি) মো. মাহবুব আলম বলেছেন, ‘এবার একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বিশ্ব ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশে এলাকায়। এসব এলাকায় কোথাও হকারদের অবস্থান করতে দেয়া হবে না। কারো সহযোগিতায় যদি বসে তাহলে হকার এবং আশ্রয়দাতা বা সহায়তাদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আইনশৃঙ্খলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা ও পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জিএমপি কমিশনার এ সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কামারপাড়া রোডসহ ইজতেমা এলাকায় কোনো প্রকার অবৈধ দোকান এবং হাকারকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। অন্যান্য স্থায়ী দোকানি যারা আছেন তাদের সামনে যদি কোনো হকার বা অবৈধ দোকান বসে তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দুপক্ষের মধ্যে সুন্দরভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সমঝোতা হয়েছে জানিয়ে জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রথম পক্ষ ইজতেমা শেষ হওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোনো প্রকার ভাঙচুর ছাড়া মাঠের ছামানা প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে ময়দান ত্যাগ করবে। আবার একইভাবে দ্বিতীয় পক্ষও তাদের ইজতেমা শেষে নির্ধারিত সময়ে প্রশাসনের কাছে মাঠ ও সরঞ্জামাদি শান্তিপূর্ণভাবে হস্তান্তর করবে। আজ অনুষ্ঠানে ইজতেমার মুসুল্লিদেরও সব নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে।’
এবারের ইজতেমায় জিএমপির ৬ সহস্রাধিক আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য ছাড়াও র্যাব, ডিএমপি ও গোয়েন্দাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বপালন করবেন।
ইজতেমার প্রস্তুতির পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, জিএমপি কমিশনার মো. মাহবুব আলম, উপ-পলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ, মো. ইব্রাহিম খান, ডিএিমপির প্রতিনিধি, ইজতেমার দুপক্ষের মুরুব্বি ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।