উৎপল দে,কেশবপুর (যশোর)
প্রতি বছরের ন্যায় এবার বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকীতে ‘মহাকবি মধুসূদন পদক’ পেলেন কবি সুহিতা সুলতানা। ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গ্রন্থের জন্য সৃজনশীল সাহিত্য (কবিতা) ক্যাটাগরিতে তাঁকে এ পদক দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে মধুমেলার সপ্তম দিনে মধুমঞ্চে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ তাঁর হাতে মহাকবি মধুসূদন পদক, সনদপত্র ও ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, যশোর জেলার সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল, যশোরের রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ এবং সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
আলোচনা করেন, সাগরদাঁড়ির মধুসূদন একাডেমির পরিচালক খন্দকার খসরু পারভেজ, যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ লিটু ও যশোর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি দীপংকর দাস রতন। অনুভূতি প্রকাশ করেন ২০২৪ সালে ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গ্রন্থের জন্য সৃজনশীল সাহিত্য (কবিতা) ক্যাটাগরিতে মহাকবি মধুসূদন পদক প্রাপ্ত কবি সুহিতা সুলতানা। যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সাগরদাঁড়িতে নয়দিনব্যাপী এ মধুমেলা অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামের বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্ম নেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত । # অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সুমাইয়া জাহান ঝুরকা ও বাংলাদেশ বেতার খুলনার আবৃত্তি শিল্পী মাসুদুর রহমান।