বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, হজ যাত্রী ও এজেন্সির বিশেষ অনুরোধে হজের নিবন্ধন সময় বাড়ানো হয়েছে। যদিও হজচুক্তির আগেই সৌদি সরকারকে হাজযাত্রীর চূড়ান্ত সংখ্যা জানানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বাড়তি এই সময়ের মধ্যে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হবে। প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধনও করা যাবে। তবে প্রাথমিক নিবন্ধন করা হলে ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ করেও চূড়ান্ত নিবন্ধন করা যাবে। অন্যথায় হজে যাওয়া যাবে না। প্রদত্ত অর্থও ফেরত দেয়া হবে না।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত হজে যেতে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন তিন হাজার ৮০২ জন আর বেসরকারিভাবে ৪৯ হাজার ৩৭১ জন।
চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত কোটা রয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। চলতি বছরের হজে যেতে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হয় গত বছরের ১৫ নভেম্বর।
সরকারিভাবে এ বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা। সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে জানায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবছরও বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। নিবন্ধন হলে।