রোববার (২১ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের ‘অনুগত আন্তর্জাতিক আদেশে’ ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন বাধ্যতামূলক হওয়ায় জার্মানি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলায় ইসরাইলকে রক্ষা করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এতে রাশিয়া মোটেও অবাক হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এটি মোটেও আশ্চর্যজনক কিছু নয়। আসল ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে নিঃশর্ত সমর্থন সবসময়ই ইসরাইলকে দিয়ে আসছে জার্মানি।
এ সময় দ্রুত গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলা বন্ধে নির্দেশ দিতে হেগের আদালতের প্রতি আহবান জানান জাখারভ।
গত বছরের ডিসেম্বরে ‘গণহত্যার অপরাধে’ ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা চালানোর মাধ্যমে জাতিসংঘের ‘গণহত্যা কনভেনশন’ লংঘন করেছে তেল আবিব।
এদিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আনা দক্ষিণ আফ্রিকার যুদ্ধাপরাধ মামলায় ভিন্নমত পোষণ করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে জার্মানি। গত ৫ জানুয়ারি জার্মানির ফেডারেল পররাষ্ট্র অফিসের মুখপাত্র বলেন, ‘গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের লক্ষ্যবস্তু ছিল সশস্ত্র আক্রমণকারীরা। তাদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। কোন জাতিগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার মনোভাব ছিল না তেল আবিবের।’
‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে আমরা মনে করি, গাজায় ইসরাইল গণহত্যা চালিয়েছে বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী তা গণহত্যার মধ্যে পড়ে না’, বলেন জার্মানির ফেডারেল পররাষ্ট্র অফিসের মুখপাত্র।
গত শুক্রবার জার্মানি ঘোষণা দিয়েছে, এই মামলায় তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ইসরাইলের পক্ষে হস্তক্ষেপ করবে বার্লিন। গণহত্যা কনভেনশন নিয়ে যে ব্যাখ্যা তারা দিয়েছে এবং কিভাবে ইসরাইলের ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে তাদের আপত্তি আছে।
এ সময় একটি জাতিগোষ্ঠীকে নির্মূল করার ইস্যুতে নিজেদের ‘বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে দাঁড় করানোর যে চেষ্টা জার্মানি চালাচ্ছে, জাখারভ তার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি জানতে চান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মানবতা ও জাতীয়তার বিরুদ্ধে জার্মানির করা অপরাধের বিষয়ে কী করবেন তারা?
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলার পর অব্যাহতভাবে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। গাজায় ইসরাইলের ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।