কুড়িগ্রামে গত পাঁচদিন ধরে সকাল থেকে দিনভর সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। ঘন কুয়াশা কম থাকলেও আকাশ মেঘলা থাকায় ঠাণ্ডার মাত্রা কয়েকগুণ বেড়েছে। কদিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে।
তবে শীতের তীব্রতা মোটেও কমেনি। পৌষের ঠাণ্ডার দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে উত্তর জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষজন। এ অঞ্চলের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে বেশি।শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের শত শত মানুষ পড়েছেন শীতকষ্টে। অন্যদিকে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেনারেল হাসপাতালে শুধুমাত্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ভর্তি হয়েছে ৩১ জন। এখন পর্যন্ত এ রোগে ভর্তি আছে ৬৩ জন। যাদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। আর শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে ১৪ জন।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আতিকুর রহমান বলেন, প্রতিদিন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে হাসপাতালে রোগী আগের চেয়ে বেশি ভর্তি হচ্ছে। এ সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে পারে।
এদিকে, স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, রবিবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মাসের শেষে একটি মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।