নিজস্ব প্রতিনিধি :
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু, নবায়ন কিংবা বাতিলে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে।
দুদকের অভিযানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, অঞ্চল-২ এর অফিস সহকারী জসিম উদ্দিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে ট্রেড লাইসেন্স করতে ঘুষ দাবির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঢাকার মিরপুরে দুটি ফ্ল্যাটসহ অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম ওই অভিযান পরিচালনা করে। বুধবার (২২ নভেম্বর) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল-২ এর অফিস সহকারী জসিম উদ্দিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে ট্রেড লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ দাবি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অফিস সহকারী জসিম উদ্দিন হাওলাদার লাইসেন্স করতে আসা গ্রাহকদের হয়রানি এবং লাইসেন্স দেওয়ার নামে ঘুষ গ্রহণের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম তাৎক্ষণিকভাবে সেবা নিতে আসা দু'জন গ্রাহককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, তাদের বাণিজ্যিক ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের জন্য জসিম উদ্দিন হাওলাদার লাইসেন্স বাতিলের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ১২৭০ টাকার স্থলে ৬ হাজার টাকা দাবি করে। এছাড়া অভিযোগকারীর দেওয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু না করে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে তাকে লাইসেন্স করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ হিসাবে ৩ হাজার টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। আর এসব অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে স্বীকারও করে জসিম।
ঘুষ গ্রহণের অপরাধ এনফোর্সমেন্ট টিম ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সামনে স্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এনফোর্সমেন্ট টিমকে অবহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অভিযানের সময় গ্রাহক হয়রানি বন্ধে এবং নাগরিকদের প্রাপ্য সেবা যথাযথভাবে নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।