কালচক্র ডেস্ক :
ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্রে করে সাভারের আমিনবাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। শনিবার সকাল থেকেই বাস, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ প্রায় সবধরনের যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের ব্যাগ ঘেঁটে দেখাসহ তাদের পরিচয়পত্র যাচাই করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া সন্দেহভাজন কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে সাভারে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে যানবাহন সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেককেই দীর্ঘক্ষণ বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আবার হঠাৎ একটা বাসের দেখা মিললে সেটাতে উঠতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন অনেকে।
মহাখালীর শিশু হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশে ভোরে আশুলিয়ার নবীনগরে সপরিবারে বাসের জন্য অপেক্ষায় করেন মো. হাবিব। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও বাস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
হাবিব বলেন, ভোর ৬টায় উঠে নবীনগরে আসছি। ছোট বাচ্চাটার ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার কারণে মহাখালী শিশু হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। এখন এসে দেখি বাস নাই। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বসে আছি বাস আসছে না। হঠাৎ কোনো বাস আসলে সেটাতে মানুষ ঠেলাঠেলি করে উঠছে। এমন অবস্থায় ছোট বাচ্চা আর স্ত্রীকে নিয়ে আমি কীভাবে উঠব। এখন হাসপাতালে যাওয়া হবে কি না, সেটাও বুঝতে পারছি না।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল কাফী বলেন, রাজধানীতে আজ কাছাকাছি দুই দলের সমাবেশে থাকায় সারা দেশ থেকে কর্মীরা আসছেন। তাদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন মামলার আসামি রয়েছে। কর্মীদের অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মাদক মামলার রয়েছে। এ ছাড়া এই চেকপোস্ট থেকে ইতোপূর্বে ১০ মামলার আসামিকেও মাদকসহ আটক করা হয়েছে। এই চেকপোস্ট নিয়মিত থাকবে। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সাভারের আমিনবাজার, বিরুলিয়া ও আশুলিয়াতে আমাদের চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছে।
তিনি জানান, আশুলিয়া থেকে বাসের যাত্রী বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় সন্দেহভাজন অনেককে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। এটাকে আমরা আটক বলছি না। তবে সংখ্যাটা এখনই বলা সম্ভব না।