বাঙালির অন্তহীন এক আবেগ শেখ রাসেল

শেখ জাহাঙ্গীর আলম,

১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িতে শিশু রাসেল যখন জন্মগ্রহণ করেন, তখনকার পরিস্থিতি ছিল রীতিমত উত্তেজনাকর। ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক ঘটনাগুলো ঘটছে পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে৷ একদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডামাডোল আবার অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট অইিয়ুব খান ও সম্মিলিত বিরোধী প্রার্থী কায়দে আজম মুহম্মদ আলী জিন্নাহর বোন ফাতেমা জিন্নাহ্। যখন কঠিন অনিশ্চয়তা আর অন্ধকারের মাঝেও এ অঞ্চলের মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখছেন, ঠিক তখনই মুজিব – ফজিলাতুন্নেছার ঘর আলোকিত করে জন্ম নিল এক ছোট্ট শিশু যার নাম “রাসেন”। পৃথিবীতে যুগে যুগে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটেছে, কিন্তু এমন নির্মম, নিষ্ঠুর এবং পৈশাচিক হত্যাকান্ড আর কোথাও ঘটেনি। মা, বাবা, দুই ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, চাচার নাশের পাশ দিয়ে হাঁটিয়ে নিতে নিতে শিশু রাসেলকে প্রতিটি নাশের সামনে মানসিকভাবেও খুন করেছে। একান্ত আপনজনের রক্তমাখা নীরব, নিথর দেহগুলোর পাশে নিয়ে গিয়ে শিশু রাসেলকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল, জঘন্য কর্মকান্ডের দৃশ্যগুলো দেখিয়ে অকে ভেতর থেকেও হত্যা করে সর্বশেষে বুলেটের নির্মম আঘাতে রাসেলের দেহ থেকে অবশিষ্ট প্রাণ তোমরাটিকেও চিরতরের জন্য নীরব-নিস্তব্ধ করে দিয়েছে বর্বর খুনিরা। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারের চিহ্নটুকুও নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল৷ আর তাদের এই ঘৃণ্য অপচেষ্টা যে শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে এটি আজ প্রমাণিত। শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবোধসম্পন্ন মানুষের কাছে একটি আদর্শ ও অলোবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকারবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম থেকে শহর তথা বাংলাদেশের প্রতিটি লোকালয়ে ছড়িয়ে আছে রাসেলের নাম।

ভারতে প্রিয়তমার দুদিন আগেমুক্তি পাবে টাইগার থ্রি

কেশবপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *