ফুটবল খেলা নিয়ে ‘উত্তপ্ত’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। ম্যাচে হেরে যাওয়া দল আইন বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী রেফারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রেফারির দিকে তেড়ে আসলে প্রক্টরিয়াল বডি বাধা দেয়। এ সময় শিক্ষার্থী ও প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যে পরিস্থিতি ‘উত্তপ্ত’ হয়ে ওঠে।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আইন বিভাগ
বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তঃ বিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর ম্যাচ রেফারির দিকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তেড়ে যায়। সে সময় প্রক্টরিয়াল বডি তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসে এবং তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে সরাতে থাকে।

তবে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবি তারা রেফারির সাথে ছবি তুলে স্লেজিং করার উদ্দেশ্যে রেফারির দিকে একযোগে যাচ্ছিল। অন্যদিকে প্রক্টরিয়াল বডি তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসলে কিছুক্ষনের জন্য উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করে খেলার মাঠে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইন বিভাগের ফুটবল দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘আজকের বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। রেফারির আচরণ অন্যরকম মনে হয়েছে এবং দর্শকদের চোখেও এটি লেগেছে। এজন্য সবার মন খারাপ ছিলো। এর মধ্যে হঠাৎ করে কথা কাটাকাটির মধ্যে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত স্যার এসে হয়তো থামানোর চেষ্টা করেছে। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে কেমন যেনো বিষয়টি উলটপালট হয়ে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কী শিক্ষার্থীদের কোন ধরনের মারধর করেছেন বলে কোন ঘটনা দেখেছে কিনা জিগ্যেস করলে তিনি আরো বলেন, ‘প্রক্টর স্যার ঘটনাটি সমাধানের জন্য চেষ্টা করছিলেন। যাতে ঝামেলা না লাগে। প্রক্টর স্যার শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দিয়েছে এমন ঘটনা দেখিনি। স্যার হাত দেয়নি, স্যার চেষ্টা করেছে থামানোর জন্য।’

এ ব্যাপারে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
মু. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আজকে যে অনভিপ্রেত ঘটনার উদ্ভূত হয়েছে তা নিয়ে ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে যেনো সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে আমরা কোনো ভেদাভেদ চাই না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে প্রশাসন যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার সেভাবেই নিচ্ছে। প্রক্টর স্যার ছাত্রদের উপর হাত তুলেছে তা আমার দৃষ্টিগোচর হয় নি। প্রক্টর স্যার ছাত্রদের মারধর করেছে এখনো কেউ আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। যারা এসব ছড়াচ্ছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রক্টরিয়াল বডি তাদের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সচেষ্ট ছিলো।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বলেন,
‘আজকে যেহেতু ফাইনাল খেলা ছিলো তাই প্রক্টরিয়াল টিমের দায়িত্ব পালন করার জন্য গিয়েছিলাম মাঠে। আইন বিভাগ হেরে যাওয়ার পর তারা উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যায়। আমরা যারা প্রক্টরিয়াল টিমের দায়িত্বে ছিলাম তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করি। এর মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে যেয়ে আমি দুইবার পরে গিয়েছি। কেউ হয়তো ধাক্কা দিয়েছিলো আমাকে। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে আমাদের যা করার প্রয়োজন ছিলো আমরা তাই করেছি।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘ উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলে কাজ করেছেন। এখানে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।’

দেশে প্রথম পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু করলো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

অবশেষে নোয়াখালীতে গণপূর্তের শত কোটির জায়গা উদ্ধার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *