একমাস আগেও ওয়ানডে ক্রিকেটে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা পাকিস্তান আসন্ন ভারত বিশ্বকাপের ফেভারিট দলগুলোর একটি হিসেবেই আলোচনায় ছিল। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে শ্রীলংকার কাছে দুই ইউকেট এবং চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানের পরাজয় পাকিস্তানের সেই প্রত্যাশাকে ক্ষীণ করেছে।
এই আনপ্রেডিক্টেবিলিটি পাকিস্তানের নিয়মিত চিত্র। যে কারণেই প্রায়শই উত্থান-পতনের মধ্যে দোল খেতে থাকে দলটি। বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জে দলটির নতুন করে ধাক্কা হিসেবে এসেছে তাদের গুরুত্বপুর্ন ফাস্ট বোলার নাসিম শাহ’র ইনজুরি। কাঁধের ইনজুরির কারণে তিনি ছিটকে গেছেন বিশ্বকাপ থেকে।
যদিও দলকে নিয়ে এখনো আশাবাদী টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেছেন,‘ নাসিমের মতো মেধাবী খেলোয়াড়কে হারানোটা অবশ্যই একটি বড় ধাক্কা। তবে তরুণ ও অভিজ্ঞ বোলারদের নিয়ে গড়া দলটি আরও বেশি সামর্থ্যবান এবং চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’
আর্থার বলেন, ‘পরিস্থিতি পাল্টে দেয়ার মতো যথেষ্ঠ সামর্থ্য এই দলটির আছে। মনে রাখতে হবে এশিয়া কাপের আগেও আমরা বিশ্ব র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ছিলাম। আমরা শুধু দুটি ম্যাচে হেরেছি। যে কোন পরিস্থিতিতে এগিয়ে যাবার মতো দক্ষতা এই দলটির আছে।’
পাকিস্তান দেশটি কিংবা দলটি চলমান সমস্যা কাটিয়ে উঠবে বলে আশাবাদী বাবর। তিনি বলেন,‘ এশিয়া কাপে হোঁচট খাওয়া সত্ত্বেও আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সঠিক পথেই রয়েছে। ’
আসন্ন বিশ্বকাপে পাকিস্তান যদি অন্তত সেমিফাইনালে খেলার আশা জিইয়ে রাখতে চায়, তাহলে মিডল অর্ডারে সর্বোচ্চটা দিতে হবে উইকেট রক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইফতেখার আহমেদ, আগা সালমান ও সৌদ শাকিলকে। সর্বশেষ ২০১১ সালে বিশ্বকাপের শেষ চারে খেলেছিল পাকিস্তান। খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছির পাকিস্তানীরা।