ঋণের চাপে পদ্মায় ঝাঁপ দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

ঢাকার দোহার উপজেলায় ঋণের চাপে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মিনু বেগম (৪৭) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার উপজেলার নারিশা ডাকবাংলো এলাকায় পদ্মা নদীতে অনেক সন্ধানের পরও তাঁর লাশ পাওয়া যায়নি।

মিনু বেগম শ্রীনগর উপজেলার মধ্যবাঘরা গ্রামের বাসিন্দা।

মিনুর স্বামী হাবিবুর রহমান জানান, তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাঁদের সংসার। দুই ছেলে প্রবাসে থাকে। গেল দুই মাস তারা টাকা পাঠাতে পারেনি। এ জন্য মিনুর এনজিওর কিস্তি বকেয়া পড়ে। কিস্তি না দেওয়ায় এনজিওকর্মীরা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অপমান সহ্য করতে না পেরে মিনু আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পদ্মার পাড়ে একা বসেছিলেন মিনু বেগম। কিছুক্ষণ পর তাঁকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। এ সময় নদীর পাড়ে বোরকা, মোবাইল ফোন ও একটি চিরকুট পান। চিরকুটে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কিস্তির স্যাররা।’

পরে ওই মোবাইল দিয়ে ফোন করে বিষয়টি স্বজনদের জানানো হয়। স্বজন, দোহার থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ঘটনাস্থলে এসে টানা চার ঘণ্টা পদ্মায় সন্ধান চালালেও লাশ উদ্ধারে ব্যর্থ হন বলে জানান দোহার সাইনপুকুর তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সুমন। তিনি বলেন, ‘আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে।’

নিহতের ছেলে নিবিড় বলেন, ১৫ দিন ধরে এনজিওর লোকজন ভোর হলেই বাড়িতে ভিড় করেন এবং রাত পর্যন্ত থাকেন। তারা অশালীন কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই আমাদের সঙ্গে মায়ের ঝগড়া হয়। দুই ভাই বিদেশে গিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ায় কাজ করলেও বেতন পান না। এ জন্য বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারেন না। মা অপমান সইতে না পেরে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন।

More From Author

জাতীয় সংসদে কপিরাইট বিল-২০২৩ পাস

কেশবপুরে দাখিল পরীক্ষার ফল  বিপর্যয়ে দু মাদ্রাসার    শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হচ্ছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *