ক্যানসারের ওষুধে পাওয়া গেল প্রাণনশাক ব্যাকটেরিয়া। উদ্বেগ প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ইতিমধ্যেই সিলন ল্যাবে প্রস্তুত করা উপাদানটি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে হু। ইঞ্জেকটেবল কেমোথেরাপিতে ব্যবহার করা এজেন্ট methotrexate ওই ল্যাবেই তৈরি করা হয়। এই এজেন্টের একটি ব্যাচে প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া যায়। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম হয়। জীবনদায়ী কেমোর মাধ্যমে যদি এই ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করে তবে প্রাণ হারানোর শঙ্কা থাকছেই।
লেবানন ও ইয়েমেনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ হায়দরাবাদের এই সংস্থার তৈরি ক্যান্সারের ওষুধটিকে চিহ্নিত করে। এই ওষুধের উপর পরীক্ষা চালানোর পর সেটা নিম্নমানের বলেও অভিহিত করে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশুদের ওপর কিছু বিরূপ প্রভাব পড়ার পর তারা এই ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালায়। হু-এর সতর্কবার্তায় এও বলা হয় যে ‘রোগীদের methotrexate ট্রিটমেন্টে রাখা হয় তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কমে যায় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়। সেখানে এই ব্যাকটেরিয়া দেহে প্রবেশ করলে ক্যান্সার সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে কোনওভাবে অস্বীকৃত বাজারের মাধ্যমে দু দেশে পৌঁছেছে। MTI2101BAQ ব্যাচটি শুধুমাত্র ভারতে বিক্রি করার কথা ছিল এবং পশ্চিম এশিয়ার দুটি দেশেই “নিয়ন্ত্রিত সরবরাহ” হওয়ার শর্তে তৈরি হয়। যদিও তেলেঙ্গানা সরকার এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে। তেলেঙ্গানা ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের যুগ্ম অধিকর্তা জি রামধন জানিয়েছেন, “আমরা সিলন ল্যাবকে এর কারণ জানাতে নোটিস দিয়েছি এবং তাদের ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, সিলন ল্যাবরেটরিজ একটি বিশেষ জেনেরিক ফার্ম যারা অনকোলজি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ারের ওষুধ তৈরি করে।