‘এমন কোনো চাপ নেই, যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে’

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কূটনীতিকদের তৎপরতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এমন কোনো চাপ নেই যা তাকে দেয়া যায়।

প্রধানমন্ত্রী সোমবার বিকেলে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তার সাম্প্রতিক কাতার সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

কূটনীতিকদের সাম্প্রতিক তৎপরতা এবং সম্প্রতি শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ৪০ বিদেশি ব্যক্তিত্বের খোলা চিঠির প্রসঙ্গটি টেনে প্রশ্ন করা হয়, সরকার নির্বাচনকে ঘিরে কোনো চাপ অনুভব করছে কি না। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমন কোনো চাপ নেই, যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমার শক্তি জনগণ। ওপরে আল্লাহ আছেন, আমার বাবার আশীর্বাদের হাত মাথায় আছে। জনগণের স্বার্থে দেশের স্বার্থে যেটা করার, সেটা করবো।’

অতীতেও বিভিন্ন সময় সরকারকে প্রভাবিত করতে এ ধরনের তৎপরতার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরকম বহু চাপ ছিল। পদ্মাসেতুর আগে কম চাপ দেয়া হয়নি। কোনো একটা দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন দেশ থেকে টেলিফোনের পর টেলিফোন।…কেন? একটা ভদ্রলোক একটা ব্যাংকের এমডি, তাকে এমডি পদে রাখতে হবে। এমডি পদে কী মধু, তা তো আমি জানি না। (ব্যাংকের) আইনে আছে ৬০ বছর (এমডি পদের বয়সসীমা), হয়ে গেছে ৭০ বছর। তারপরও একটা লোক কীভাবে সে পদে থাকে? এভাবে এমডি পদে থাকা কেন? মানিলন্ডারিং করা যায়, এই তো সুবিধা? টাকা বানানো যায়, গরিবের রক্ত চুষে খাওয়া যায়। সেই চাপও শেখ হাসিনা সহ্য করে চলে এসেছেন। তারপর নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু বানিয়ে তাদের দেখালাম, ওই চাপে আমাদের কিছু যায় আসে না।’

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার ব্যাপারে যা করণীয় সরকার করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, সেজন্য যত সংশোধনী ও সংস্কার দরকার, করেছি। বাকিটা জনগণের হাতে। জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নেই, কোনো আফসোস নেই।’

বর্তমান সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু ভোট সম্ভব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে যে স্থানীয় সরকার, উপনির্বাচন হয়েছে, সবগুলোতে জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছে। একটা কথাও বলতে পারেনি কেউ। সুতরাং সরকারে থাকলেও যে ভোট নির্বিঘ্ন হতে পারে, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আর কী প্রমাণ করতে হবে?’

দলগুলোকে ভোটে আনতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংলাপের কোনো প্রস্তুতি আছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কার সঙ্গে সংলাপ করবো?’

এসময় বিগত একাদশ নির্বাচনের আগে সরকারের সংলাপ উদ্যোগ ও এক্ষেত্রে অন্য দলের অসহযোগিতার তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যতটুক ধৈর্য আছে, দেখিয়েছি। বাবা-মা, পরিবারের খুনির সঙ্গে কেউ আলোচনায় বসবে? তবু দেশের স্বার্থে সেটাও করেছি।’

মেডিকেলে ভর্তি শুরু ২৭ মার্চ

সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাথে সোনারগাঁও প্রেসক্লাব এর মত বিনিময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *