জর্ডানে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা সহিংসতা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জর্ডানের লোহিত সাগর তীরবর্তী আকাবায় গত রোববার এই বৈঠক সম্পন্ন হয়।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেন, সহিংসতা যেন আর না বাড়ে, সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন তারা। এদিকে বৈঠক চলার মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে দুই ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জর্ডানের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের বিরল বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের কর্মকর্তারাও শামিল ছিলেন।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আগামী চার মাস নতুন ইহুদি বসতি ইউনিট স্থাপনের আলোচনা বন্ধ রাখতে এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন বসতি স্থাপনের অনুমতি না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। খোলামেলা ও পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনার পর উভয় পক্ষ সহিংসতা হ্রাসে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে গুরুত্ব দেয়।
এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে গত রোববার নাবলুসের কাছে হাওয়ারা গ্রামে এক ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে দুই ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, তারা বন্দুকধারীর পিছু ধাওয়া করছে এবং পশ্চিম তীরে সেনাসংখ্যা বাড়চ্ছে। সেখানে অতিরিক্ত দুই ব্যাটালিয়ন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত দুই ইসরায়েলির একজন সেনাসদস্য বলে নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী। ইসরায়েল সরকার হাওয়ারা গ্রামের এ হত্যাকাণ্ডকে ‘ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
গ্রামটিতে গুলির ঘটনার পর সহিংসতা হয়েছে। অন্তত ১৫টি ঘরবাড়ি এবং বেশ কিছুসংখ্যক গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। সংঘর্ষে কয়েক শ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জরুরি সেবা বিভাগ।
কাছের পশ্চিম তীরের জাতারায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং সেনারা প্রবেশ করার পর এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।