রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিতে আন্তর্জাতকি সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত রোহিঙ্গা বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের।

সভায় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, গাম্বিয়া, ব্রুনেই দারুসসালাম, জিবুতি, সেনেগাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এবং অন্যান্য পর্যায়ের কূটনীতিকরা। এছাড়া জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ওআইসির স্থায়ী পর্যবেক্ষণ মিশনের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

সভায় বক্তৃতাকালে বিশ্ব সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনে সফলতা না আসায় হতাশা ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর ফলে তিনি বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্ভাবনার কথা পুনরায় উল্লেখ করেন।

মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো ছোট আয়তনের দেশে বিপুল জনসংখ্যাসহ অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তার ওপর মিয়ানমার থেকে আগত ১ দশমিক ২ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়।’

নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি গৃহীত রেজুল্যুশনের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি উপস্থিত সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের নেতৃত্বের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

সভায় বক্তারা রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐকমত্যের সফল বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্ব দেন। সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের পরিস্থিতি বিষয়ক একটি রেজুল্যুশন (২৬৬৯) গৃহীত হয়। এতে মিয়ানমারের বিদ্যমান রাজনৈতিক সমস্যাসহ রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের বিষয়টিও বিশেষভাবে প্রাধান্য পায়। এছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিগত বছরগুলোতে নিয়মিতভাবে রোহিঙ্গা বিষয়ক রেজুল্যুশন পাস হয়।

নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের রোহিঙ্গা বিষয়ক এই রেজুল্যুশনগুলোকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জোরালো আহ্বান জানানোই ছিল এ সভার মূল উদ্দেশ্য।

More From Author

খুনের আসামি বনে যান মডেল, রিয়া নাম বদলে রাখেন অধরা

গোলকিপারকে মারতে এসে উল্টো ধরাশায়ী সমর্থক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *