যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বাঙালির বিজয় ও ভাষাসংগ্রাম

ঘোষিত ১৯৫৪ সালের নির্বাচনসমূহকে সামনে রেখে বাংলার রাজনৈতিক ঐক্য পরিপূর্ণতা লাভ করে। মুসলিম লীগবিরোধী এই ঐক্য বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে চিরকাল। এই ঐক্যের ফসল ছিল যুক্তফ্রন্ট নামক রাজনৈতিক মোর্চার আত্মপ্রকাশ ও সেই মোর্চার কাছে মুসলিম লীগের বাংলার মাটিতে শোচনীয় পরাজয়।

১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্টের অন্য দলগুলো ছিল কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল, পাকিস্তান খেলাফত পার্টি ও নেজামে ইসলাম পার্টি। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করাসহ আরও ২০টি দফা ছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ভাষাশহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনকে বাংলা ভাষা উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা, ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ও সরকারি ছুটির দিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা, পূর্ববঙ্গে পূর্ণ প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত করা ইত্যাদি।

যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার বাংলার মানুষের প্রাণের দাবি হয়ে ওঠে ও সারা বাংলায় অভূতপূ্র্ব গণজাগরণের সৃষ্টি করে। ১৯৫৪ সালের ৮ থেকে ১২ মার্চ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ৩০৯টি আসনের মধ্যে ২২৮টি আসনে জয় লাভ করে। পক্ষান্তরে মুসলিম লীগ পায় মাত্র ৯টি আসন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সর্বপ্রথম বাংলার মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে পাকিস্তান রাষ্ট্রের নীতির প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে। সেই সঙ্গে বাংলার মানুষের সব আন্দোলনের সঙ্গে ভাষা অন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে ধাবিত হতে থাকে।

পাকিস্তানি শাসকদের ও তাদের এ দেশীয় পদলেহনকারীদের ষড়যন্ত্রও থেমে থাকে না। বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারির আত্মত্যাগের মাধ্যমে মূলত স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম ধাপটি জাতি অতিক্রম করে। তখনো স্বাধীনতার অর্থ বাংলার মানুষের কাছে ছিল ন্যূনতম আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিতকরণ। পরবর্তীতে পাকিস্তানি সামরিকতন্ত্র, সামন্ততন্ত্র ও নব্য ক্যাপিটালের উত্তরোত্তর ষড়যন্ত্র ও আগ্রাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে এ দেশের মানুষের সংগ্রামের বিস্তৃতি ও গভীরতা পরিবর্তিত হতে থাকে। আওয়ামী মুসলিম লীগ আওয়ামী লীগে পরিণত হয়, শেখ মুজিব বাংলার নেতা থেকে বাংলার মানুষের বঙ্গবন্ধুতে পরিণত হন ও অন্যান্য প্রগতিশীল শক্তিগুলোকে সমন্বিত করে অভূতপূর্ব আন্দোলনের সূত্রপাত করেন।

১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ছয় দফা, ১৯৬৮-৬৯-এর ছাত্র ও গণ-আন্দোলন, শেখ মুজিবের কারাবরণ ও কারামুক্তি, ১৯৭০-এর নির্বাচনে জনগণের একতরফা ম্যান্ডেট পাওয়া, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ ও অগুনতি আত্মত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল মহান স্বাধীনতা ও বিজয়। এই বিশাল পথ পরিক্রমা কেবলমাত্র ২৩ বছরে সমাপ্ত হয় বাংলার জনতার অভূতপূর্ব জাগরণে, যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের পর শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক মোর্চার সবার সম্মতিতে ১৯৫৪ সালের ৩ এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োজিত হন। তিনি পর্যায়ক্রমে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করেন, যার সদস্য হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তফ্রন্টের সরকারে দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন। পূর্ববঙ্গের জনগণের অভূতপূর্ব সমর্থনে গঠিত এই সরকার পূর্বঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা, ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ও সরকারি ছুটির দিন ও মুখ্য মন্ত্রীর বাসভবন বর্ধমান হাউসকে বাংলা ভাষার কেন্দ্র হিসেবে বাংলা একাডেমিতে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মন্ত্রিসভার সদস্য শেখ মুজিব পূর্ববঙ্গের স্বায়ত্ত শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকেন। সেই সঙ্গে আওয়ামী মুসলিম লীগ জনগণকে স্বাধিকারের ও জাতীয়তাবাদের দীক্ষায় জাগ্রত করার জন্য কাজ করে যেতে থাকেন।

অন্যদিকে ব্যালটে পরাজিত পাকিস্তানি কেন্দ্রীয় শাসকেরা ও মুসলিম লীগ প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। তারা যুক্তফ্রন্টে ভাঙন ধরানোর জন্য অংশীদার একাধিক দল ও বহুসংখ্যক সদস্যকে বিভিন্নভাবে বশীভূত করে। তা ছাড়া শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৯৫৪ সালের ৩০ এপ্রিল কোলকাতায় প্রদত্ত একটি অতি সাধারণ বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনে। শেরেবাংলা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছিলেন যে, ‘শিক্ষা ও সংস্কৃতির দিক থেকে দুই বাংলা অভিন্ন।’ পাকিস্তানি অপশাসকদের জন্য অন্ধ ভারতবিরোধিতা ছিল একটি মূল অস্ত্র। তারা শেরেবাংলার সঙ্গে ভারতের গোপন আঁতাত আছে এবং তিনি পূর্ব পাকিস্তানকে ভারতের কাছে বিকিয়ে দেবেন বলে অপপ্রচার চালাতে থাকে। অপরদিকে, সারা পূর্ব পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পাকিস্তানের দালাল, ধর্মব্যবসায়ী, ধর্মভিত্তিক দলসমূহ ও বিশেষত ভারত থেকে আগত বিহারি ও অন্যান্য অবাঙালি জনগোষ্ঠী আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় ও যুক্তফ্রন্ট সরকারকে অকার্যকর প্রমাণিত করার প্রচেষ্টা ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যেতে থাকে। অবশেষে মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই ১৯৫৪ সালের ৩০ মে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়া হয় ও গভর্নরের শাসন চালু করা হয়। এভাবেই ধ্বংস করা হয় পূর্ববঙ্গের গণতান্ত্রিক সরকারকে। কিন্তু পাকিস্তানিদের কোনো ষড়যন্ত্রই ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সংবিধানে পরিবর্তন এনে বাংলাকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখলের পর বাংলাবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড তীব্রতর হলো। আইয়ুব-মোনায়েম চক্র এক পর্যায়ে ঢাকা বেতারে ও পরবর্তী সময়ে টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করল। রাষ্ট্রীয় সব ধরনের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত বর্জন করা হয়। মানুষের মধ্যে বিকৃত ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে সংখ্যালঘু, বিশেষত হিন্দুবিদ্বেষী প্রচারণা চালানো হতে থাকল অতি কৌশলে। এ সময়ই অনেক হিন্দু পূর্বপাকিস্তানে তাদের ভিটামাটি ছেড়ে ভারতে চলে গেল। তৃণমূল পর্যায়ের মুসলিম লীগ নেতারা হিন্দুদের জমিজমা দখল করতে লাগল। অপরদিকে দেশছাড়া হিন্দুদের সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত করার আইনি প্রক্রিয়া চলতে থাকল। বাংলার মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্য সবাই যে একই জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এই মূল্যবোধে মানুষকে উজ্জীবিত করার জন্য এ দেশের শিক্ষিত ও উদারপন্থি সমাজ তৃণমূল পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলল। এই আন্দোলনের রাজনৈতিক নেতৃত্বে থাকে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্র নেতৃত্বে থাকে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন। শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ করে শ্রমিক লীগ, যেখানে ত্যাগী অনেক ছাত্রনেতা সার্বক্ষণিক শ্রমিকদের একতাবদ্ধ রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতেন। পুরো ষাটের দশকে শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, আবদুল কুদ্দুস মাখন, তোফায়েল আহমেদ, শাহজাহান সিরাজ, নূর এ আলম, আ স ম রব প্রমুখ ছাত্রনেতাদের সংগ্রামী ভূমিকা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি সীমাহীন আনুগত্য আমাদের জাতির স্বাধীনতার সব সংগ্রামকে সফল করতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। এদের মধ্যে অনেকেরই পরবর্তী রাজনৈতিক ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও, স্বাধীনতার জন্য এদের অবদান চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।

অপরদিকে পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পরপরই অনেকগুলো ব্যবস্থা নেয়া হয় যা ছিল বাংলা ভাষাকে প্রকারান্তরে অস্বীকার করে যাওয়ার পরিকল্পনার অংশ। সরকারি দলিলাদি, স্ট্যাম্প, পোস্টকার্ড, যানবাহনের টিকিট, ব্যাংক নোট ইত্যাদি প্রস্তুত করা হতে থাকে উর্দু ও ইংরেজি ভাষায়, যা অঞ্চলের অধিবাসীদের ব্যবহারের অনুকূল ছিল না। এমনকি পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সিলেবাস থেকে আগে থেকেই অন্তর্ভুক্ত থাকা বাংলা ভাষাকে বাদ দিয়ে দেয়! উপরন্তু পিএসসি ১৯৪৭ সালের নভেম্বরের সিভিল সর্ভিস পরীক্ষার সিলেবাসে ৯টি ভাষার যে লিস্ট প্রস্তুত করে সেখান থেকেও বাংলা ভাষাকে বাদ দেয়া হয়। এগুলো ছিল বাঙালিদের বিরুদ্ধে চরমতম উসকানি।

আগেই বলা হয়েছে যে বাংলার মানুষের নিজের মাতৃভাষার অধিকার আদায় ও সুপ্রতিষ্ঠিত করার এই সংগ্রাম ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু হয়ে পাকিস্তান আমলে আরও অনেক বেশি সুসংহত হয়। আপাতদৃষ্টে এটিকে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন মনে করা হলেও এটি ছিল একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক আন্দোলন- যার পটভূমি রচিত হয়েছিল সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ও বাস্তবায়নের পথ ধরেই। ইতিহাসের বহু পথ পরিক্রম করে ভাষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখে, যেদিন ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার রাজপথ। সেই সঙ্গে লিখিত হয় বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম অধ্যায়টি। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে আসে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের নিরঙ্কুশ বিজয়, ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন ও আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের ঘনঘটা। ষাটের দশকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামের স্রোতোধারা বেগবান হয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে থাকে শত্রুর সব প্রতিরোধের দুর্গ। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার আন্দোলন আবির্ভূত হয় বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান ছিনিয়ে আনে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে। পাকিস্তানের লৌহমানব আইয়ুব খান পরাভূত হয়। ১৯৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকে দেশের মানুষ দেশ শাসনের অধিকার দেয়। পাকিস্তানিদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাত করে বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে তার বহু শতাব্দীর কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।

আমাদের বিজয়ের পথ ছিল ষড়যন্ত্রের বিষে পিচ্ছিল ও কণ্টকময়। সেই ষড়যন্ত্র হত্যা করেছে জাতির পিতাকে, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী নেতাদের, অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে। পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দাদের চর-অনুচরের দল কৌশলে মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই আমাদের নেতৃত্বের ও নীতি-নির্ধারকদের কাছাকাছি অবস্থান করে নেয় এবং সুযোগের অপেক্ষায় থাকে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের মতো আরেকটি ধর্মান্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার। স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, তার পারিবার ও তার সবচেয়ে বিশ্বাসভাজন সহকর্মীদের। ঘটানো হয় পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডগুলোকে: জেলখানায়, জনসভায়, সেনানিবাসে, এমনকি প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে। দীর্ঘ ২৬ বৎসর আমাদের জন্মভূমি পদদলিত হতে থাকে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী ক্ষমতা দখলকারী ও তাদের দোসরদের দ্বারা। হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করে তাদের বাংলাদেশের রক্তস্নাত পতাকাকে পদদলিত করার সুযোগ করে দেয় এসব পদলেহীর দল। দীর্ঘকাল ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার সুবাদে প্রশাসনে, সামরিক বাহিনীতে, ব্যবসা বাণিজ্যে, অর্থনীতির আনাচে-কানাচে সর্বত্র এখনো এদের অবাধ বিচরণ বিদ্যমান। সময়মতো এরা আবার আবির্ভূত হবে স্বমূর্তিতে।

১৭ কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে বাড়ছে বাংলাদেশি নেতৃত্ব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *