পাকিস্তানে এক প্যাকেট দুধের দাম ২১০ টাকা, চিকেন ৮০০ ছুঁইছুঁই! দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে এই ধরনের অর্থনৈতিক সংকট চলছে। দিনে দিনে তা গভীর হচ্ছে।
এর আগে সেখানে গম ও আটা অগ্নিমূল্য হয়ে ওঠার কথাও শোনা গিয়েছিল। মুরগির দামও ক্রমশ বাড়ছিল। এতটাই বাড়ছিল যে, সেখানে পোলট্রি ফার্ম লুটও হয়। এবার দুধের পালা। পাকিস্তান রুপিতে সেখানে ১ লিটার দুধের দাম ২১০ টাকা, ১ কিলোগ্রাম চিকেনের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ৭৮০ টাকা। বোনলেস চিকেনের দাম দাঁড়িয়েছে ১০০০ থেকে ১১০০ প্রতি কেজি।
গভীর আর্থিক সংকট ঘিরে রয়েছে পাকিস্তান। এর মধ্যে পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দিয়েছে আইএমএফও। পাকিস্তানকে দেওয়া ১.১ বিলিয়ন ডলারের কিস্তি তারা বন্ধ করে দিয়েছে। বেল-আউট প্যাকেজ নিয়ে পাকিস্তান ও আইএমএফের মধ্যে আলোচনা হয়নি। পাকিস্তান ক্রমাগত ঋণখেলাপির দিকে এগোচ্ছে এবং এরই মধ্যে IMF-সহ অন্যান্য দেশও পাকিস্তানের সঙ্গ ছেড়েছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ক্রমাগত কমেছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছিল কয়েকদিন আগে। সর্ব ক্ষেত্রেই মূল্যবৃদ্ধিও তুঙ্গে উঠেছে সেদেশে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রার দাম কমছে। কিন্তু কেন IMF পাকিস্তানকে বেল-আউট প্যাকেজ দিচ্ছে না? যে জন্য পাকিস্তানের ১.১ বিলিয়ন ডলারের কিস্তি আটকে আছে।
পাকিস্তান এবং IMF-এর মধ্যে ৬.৫ বিলিয়ন ডলার বেল-আউট প্যাকেজ নিয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। কিছু শর্তে আটকে থাকায় পাকিস্তানের ১.১ বিলিয়ন ডলারের কিস্তি বন্ধ করে দিয়েছে আইএমএফ। তবে, আইএমএফ বলেছে, পাকিস্তানের বেল-আউট প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা চলবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রাতহবিল পাকিস্তানকে স্পষ্টভাবে বলেছে, শেহবাজ শরিফ সরকার তার সমস্ত শর্ত পূরণ না করা পর্যন্ত বেল-আউট প্যাকেজ দেওয়া যাবে না। আইএমএফ বলেছে, পাকিস্তানকে অর্থনীতিতে ভর্তুকি কমাতে হবে। এ ছাড়াও তাদের আয় স্থায়ীভাবে বাড়াতে হবে। এটি অর্থনীতিতে একটা ভারসাম্যের পরিস্থিতি আনবে। সেনাবাহিনীর বাজেট নিয়েও আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে পাকিস্তানের।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদল জানিয়েছে, কিছু শর্ত বাস্তবায়ন নিয়ে আইএমএফ ও পাকিস্তানের মধ্যে কথা হচ্ছে। বেল-আউট প্যাকেজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ঋণখেলাপি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে পাকিস্তান। কিন্তু বাকি শর্তগুলি বাস্তবায়িত হবে বলে আইএমএফকে আশ্বস্ত করতে একরকম ব্যর্থই হয়েছেন পাক অর্থমন্ত্রী।