জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে এবার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত হয়েছে ৩ জন।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৮টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেইন গেইটের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার (৬৮), গোলাম মেহেদী সাকিব(১৮) ও ওমর ফারুক সানি (২৫)।
মারধরের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করেন, রোববার রাত পৌনে ৮ টার দিকে তিনি নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় লোকজন তাকে জানায়, বাদশা নামে এক ছেলে ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমার নাতি বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাকিবকে মারধর করতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান করছে। এমন খবর শুনে তিনি বাদশাকে লোহার রড ও হাতুড়িসহ আটক করে একটি থাপ্পড় দেন। একই সময় সেখানে আসে কিশোর গ্যাং লিডার মো. মোহন (১৮) ও জয়সহ ১০-১৫ জন।
আব্দুস সাত্তারের অভিযোগ, একপর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে বাদশাকে থাপ্পড় দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে তার ওপর হামলা চালায়। আমাকে ফেলে দিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় তার নাতিসহ আরও দুইজন আহত হয়। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেখানকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় কেউ এখনো কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি (রোববার) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ থানায় সালিশি বৈঠক শেষে দু’পক্ষ থানা থেকে বের হলে এক পক্ষের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ঘটনা ঘটে। মারামারির সময় ছবি তুলতে গিয়ে কিশোরগ্যাং নেতা মোহন ও জয়ের নেতৃত্বে হামলার শিকার হন দৈনিক আমাদের সময়ের কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি নুর উদ্দিন মুরাদসহ ৫ জন। একই সময় কিশোর গ্যাং সদস্যরা থানার সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও পার্শ্ববর্তী সিদ্দিক টাওয়ারে হামলা ও ভাঙচুর করে। সে ঘটনায় সাংবাদিক নুর উদ্দিন মুরাদ কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও এখনো কাউকে আটক করেনি পুলিশ।