প্রকল্প অনুমোদনে পরিকল্পনামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। সংশোধিত প্রকল্পের খরচ ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হলে অনুমোদন করতে পারবেন তারা। অর্থাৎ কোনো প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাবে সবশেষ অনুমোদিত খরচের ২৫ শতাংশ বা ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত হ্রাস-বৃদ্ধি হলে তা পরিকল্পনামন্ত্রী বা পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীকে অনুমোদনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য যেতে হবে না।
গত সোমবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষমতা বৃদ্ধিসংক্রান্ত এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত বুধবার তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কোনো প্রকল্পের খরচ ২৫ শতাংশের বেশি হ্রাস-বৃদ্ধি হলেও প্রস্তাবিত সংশোধিত প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় যদি ৭৫ কোটি টাকার কম হয়, তাহলেও পরিকল্পনামন্ত্রী ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী তা অনুমোদন করতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোনো প্রকল্পের প্রথম বা দ্বিতীয় সংশোধনীর সময় যদি খরচ কমে যায়, সেই খরচ কমার পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, তা অনুমোদন করতে পারবেন পরিকল্পনামন্ত্রী ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। ২০২২ সালের জুনে প্রকাশিত সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধনী নির্দেশিকা সংশোধন করে পরিকল্পনামন্ত্রীর ক্ষমতা সংশোধন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আগে সরকারি কোনো প্রকল্পের ব্যয় ২৫ কোটি পর্যন্ত বাড়লে বা কমলে সিদ্ধান্ত দিতে পারতেন পরিকল্পনামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। এখন সেটা বাড়িয়ে ৫০ কোটি টাকা করা হয়েছে।’
এর ফলে বাংলাদেশের সরকারি প্রকল্প নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা বাড়ল পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমের।
কোনো প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাবে সবশেষ অনুমোদিত খরচের ২৫ শতাংশ বা ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত হ্রাস-বৃদ্ধি হলে তা পরিকল্পনামন্ত্রী বা পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীকে অনুমোদনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি পরিষ্কার করে পরিকল্পনাসচিব সত্যজিত কর্মকার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ধরা যাক, একটি প্রকল্প ৫০০ কোটি টাকা। সেই প্রকল্পটা সংশোধন হয়ে ৮০০ কোটি টাকা হয়েছে। এর পরে প্রকল্পটি তৃতীয়বার সংশোধন হয়ে ৮৫০ কোটি টাকা বা ৭৮০ কোটি টাকা হয়েছে। তখন এই প্রকল্পটি নিয়ে আর একনেকে যাওয়ার দরকার নেই। যেহেতু ৫০ কোটি বেড়েছে অথবা ব্যয় যেহেতু কমে গেছে সে কারণে পরিকল্পনামন্ত্রী ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এটা অনুমোদন দিতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘আগে তৃতীয়বার সংশোধনের ক্ষমতা ছিল না পরিকল্পনামন্ত্রী ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর। তৃতীয় বা চতুর্থবার সংশোধনের ক্ষেত্রে একনেকে যেতে হতো। এখন আর একনেকে যেতে হবে না। যদি সীমার মধ্যে থাকে। অর্থাৎ সংশোধন যদি ২৫ শতাংশ বা ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত থাকে। আর কমলে সমস্যা নেই।’